মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


হিজাব ফ্যাশন ও পবিত্র পর্দা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মারুফ বিল্লাহ তাক্বী

হিজাব, এই নাম সবার জানা, হিজাবের নাম বললেই চোখে ভাসে মডারেট মুসলিম নারী সমাজের কথিত হিজাব। বিপ্লব  আমাদের সমাজে হিজাব হল ইসলামের সুন্দর সুশৃঙ্খল সামাজিক পবিত্র বিধান ‘পর্দা’। আসলেও কি তাই...! অনেকের কাছে এমন প্রশ্ন তোলাটাই বোকামি কারন তাদের কাছে পর্দা মানেই হিজাব কিংবা বাজারের বোরকা । হিজাবের ব্যপারে কথা বলার পূর্বে আমাদের জানা উচিৎ ইসলামে পর্দা কাকে বলে?

 

আল্লাহ্‌ তায়ালা সূরা নুরে বলেনঃ ‘আর মুমিন নারীদেরকে বল, “তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে” এবং “তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করবে”। আর “যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না”। “তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে”।

 

আর “তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে”। আর “তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে”। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার’। (সূরা আন-নূর-৩১)

 

উপোরুক্ত আয়াতে আল্লাহ্‌ তায়ালা নারীদের কে কিছু নীতিমালা দিয়েছেন যেগুলো সবগুলোই সামাজিক আমরা কথা বলব ঘরের বাহিরে পর্দা নিয়ে। আয়াতে হিজাবে ও বোরকার ব্যাপারে কিছুই বলেনি। বরং আল্লাহ্‌ তায়ালা ঘরের বাহিরে পর্দার ব্যাপারে বলেছেন “যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না” এবং বলেছেন “তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে” দুটি কথায় সহজে বুঝতে পারা যায় নারীদেরকে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশে নিষেধ করা হয়েছে, সুতরাং ঘরের বাহিরে নিজের সৌন্দর্যকে আবৃত করে তারপর বের হওয়া আর তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার নামই পর্দা।

 

পর্দা কোনোদিনেও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে কিংবা টাইট ফিট ও আবেদনময়ী বোরকা অথবা অন্য কোন পোশাক পরে আদায় করা যাবে না পর্দার বিধান আদায় করতে হলে হাত,মুখ,চোখ,পাসহ পুরো দেহ আবৃত করে রাখতে হবে। এখন আপনি এই বিধান মধ্যযুগীয় সভ্যতার ঢিলাঢালা পোশাক দিয়ে আদায় করেন আর নাহয় নিজ হাতে তৈরিকৃত কোন পোশাক দিয়ে আদায় করেন এটা ইসলামের দেখার বিষয় নয় এটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। হিজাব হল পর্দার বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক একটি পোশাক। যেমন,

 

১। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন সৌন্দর্য গোপন কর।  অথছ হিজাব বর্তমানে আবেদনময়ী চেহারার অধিকারিণী হওয়ার ও সৌন্দর্য প্রকাশের উন্নতম একটি মাধ্যম যার দরুন পুরুষদের আকর্ষন ও নারী ধর্ষনের মত জঘন্য ঘটনা কমার বদলি বাড়ছে।

 

২।  আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন “তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে” অথছ হিজাব বক্ষদেশকে আরো লোভনীয় করে তুলে কারন প্রায় হিজাব মাথায় ও গলায় পেঁচানো থাকে আর বক্ষদেশ পড়ে থাকে খালি হয়ে যার কারনে আকর্ষণ কমে যাওয়ার পরিবর্তে আরো বাড়ে। (প্রচলিত কিছু)বোরকা কিংবা হিজাব ইসলামের পর্দা নয় বরং এটা ইসলামের নামে কু-সংস্কৃতি। হিজাব ও টাইট ফিট আবেদনময়ী বোরকা কখনো মধ্যযুগীয় শালীন সভ্যতা ও ইসলামের পবিত্র বিধান পর্দা হতেই পারেনা এটা পশ্চিমা অসভ্যতা। আসুন সবাই দ্বীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও মডারেটের নামে ছাড়াছাড়ি ছেড়ে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করি। আর নাহয় আমাদের এসব অপকর্মের শাস্তি দুনিয়ায় ও আখিরাতে আমাদের নিজেদেরি ভুগতে হবে।  সম্পাদনা: মুফতি আবদুল্লাহ তামিম

/এটি

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ