শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আহমেদ জামাল গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিজ্ঞানী সৈয়দ আহমেদ জামাল ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তার স্ত্রীসহ তিন সন্তানের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আছে। এই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের রেকর্ড না থাকা সত্ত্বেও বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করেন দেশটির অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরের (আইসিই) কর্মকর্তারা। খবর লরেন্স জার্নাল ওয়ার্ল্ড।

সৈয়দ আহমেদ জামাল একজন বিহারি বাংলাদেশি। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেশ ছেড়েছিলেন ১৯৮৭ সালে। কট্টরপন্থীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কায় আর দেশে ফেরেননি তিনি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে জাতীয় নিরাপত্তার কারণে কোনো ব্যক্তিকে বিপজ্জনক মনে হলে তাকে গ্রেপ্তার করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা। আইসিই’র কার্যনির্বাহী প্রধান থমাস হোমান বলেন, জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে।

২০১১ সালে একবার জামালের ভিসা বাতিল হয়ে যায়। আদালত ‘ভলান্টারি ডিপারচার’র নির্দেশ দিলেও সে সময় দেশ থেকে জামালকে বিতাড়িত করা হয়নি। পরে স্থায়ী বসবাসের ভিসা আবেদন করলে খারিজ করে দেয় অভিবাসন আপিল বোর্ড। আদালতের নির্দেশেই জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি অভিবাসন দপ্তরের।

সৈয়দ আহমেদ জামাল জামাল কানসাসের লরেন্সে খুব জনপ্রিয়। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব থেকে প্রতিবেশীরা জনমত তৈরি করতে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে। এরই মধ্যেই ২৫ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে।

জামালের ১৪ বছরের ছেলে একটি ভিডিওতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, পরিবারের ভরসা একমাত্র তাদের বাবা। ছোট ভাই দিনরাত কাঁদছে। বোনের সামনের পরীক্ষা। কিন্তু সে পড়ায় মনোযোগ করতে পারছে না। মায়ের একটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেলে আমার মা বাঁচবে না।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ