বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইসির নতুন নির্দেশনা ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম: চীন বান্দরবানে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে কুকি-চিনের ৯ সদস্য গ্রেফতার আজমিরীগঞ্জে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই বাস্তবায়ন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা নিয়ে যা বলছে সৌদি মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করলেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

মিশরে সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পিরামিড, মমি, প্রাচীন মন্দির, স্থাপনা, মূর্তি আবিষ্কার করতে করতে পুরো বিশ্বের অনেকটা ধারণাই হয়ে গিয়েছিল, মিশরে বোধহয় নতুন করে আর আবিষ্কারের কিছু বাকি নেই। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল করে দিয়ে পুরাতত্ত্ববিদেরা খুঁজে বের করলেন আরও একটি সমাধি, যার বয়স প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর

মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে গিজা মালভূমির বিশ্বখ্যাত পিরামিডগুলোর কাছাকাছিই অবস্থিত এই নব আবিষ্কৃত সমাধিক্ষেত্র।

গিজার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিশাল সমাধি অঞ্চলের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে এই সমাধিটি। এই এলাকা মূলত প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের সমাধিস্থল হিসেবেই বেশি পরিচিত। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন সমাধিটি হেতপেত নামের এক নারী রাজ পুরোহিতের। ধারণা করা হচ্ছে, প্রাচীন পঞ্চম রাজবংশীয়দের খুব কাছের একজন ছিলেন এই হেতপেত।

আর সমাধিক্ষেত্রটি তৈরি হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ বছর আগে, অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ২৩শ’ অব্দের দিকে। গত শনিবারই সমাধিক্ষেত্রটি গণমাধ্যমের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরা হয়। পুরো স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে মাটির তৈরি ইট দিয়ে। দেয়ালগুলো জুড়ে রয়েছে নানা রকম প্রাচীন চিত্রকর্ম, যার বেশিরভাগই প্রায় অক্ষত অবস্থায় আছে। এমনকি ছবিগুলোর রঙও এখনো পরিষ্কার।

হেতপেত ছিলেন উর্বরতার দেবী হাথরের পুরোহিত। তাই সমাধির বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা চিত্রকর্মে হেতপেতকে দেখা গেছে শিকার আর মাছ ধরার কাজে উপস্থিত থাকতে। মিশরীয় ফারাওদের সময় প্রায়ই পোষাপ্রাণী হিসেবে থাকত বানর। তাই চিত্রকর্মগুলোর কোথাও দেখা গেছে ফল কুড়াতে, কোথাও দেখা গেছে নাচতে। পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়েছিল গত নভেম্বরে। খনন অভিযানের প্রধান মোস্তফা আল-ওয়াজিরি আশা করছেন, আরও অনেক কিছু বাকি আছে সেখানে আবিষ্কার করার। মিশর সরকারের আশা, নতুন আবিষ্কারের ফলে দেশটির ভাটা পড়া পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার আসবে।

সূত্র: মিডিলিস্ট মনিটর

/এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ