আওয়ার ইসলাম: তরুণরা আজকাল ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু অধিকাংশ যুবকের কাছে পুঁজি কম থাকায় ব্যবসায় হাত দিতেপারে না। আবার অনেকেই বলবে ব্যবসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এভাবে হাজারো ইচ্ছার মৃত্যুহচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ব্যবসা শুরু করতে অনেক পুঁজি লাগে কথাটা মোটেও ঠিক নয়। অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো খুব কম পুঁজিতেইশুরু করা যায়। এই ব্যবসাগুলোর শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকরা সহজেই করতে পারেন।
অল্প পুঁজিতে লাভজনক কয়েকটি ব্যবসার ধারণা
মোবাইল ফোনের দোকান: আজকাল দেশের প্রায় লোকই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এই মোবাইল ফোনের চাহিদাদিনদিন বৃদ্ধিই পাবে বলা যায়। বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবসা খুবই জমজমাট হচ্ছে। এজন্য কী অনেক বেশি পুঁজি লাগবে?
প্রথমে ছোট পরিসরে অল্পকিছু মোবাইল নিয়েই একটা দোকান খুলুন। আস্তে আস্তে দোকান বড় করতে থাকবেন। এরপর ফোনেরএক্সেসরিজ বিক্রি করবেন।
মুদির দোকান: আপনার পুঁজি স্বল্পতা আছে। তাই একটা মুদির দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে এতে অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা লাগবে না। যেখানে দোকান কম কিন্তু বিক্রি হবে বেশি এমন স্থান পছন্দ করবেন।
হোম ডেলিভারি পদ্ধতি চালু রাখতে পারেন। ফেজবুক পেজ খুলে ইনবক্সে অর্ডার নিতে পারেন। কাছাকাছি বাসায় পণ্য পৌঁছে দিবেন। দেখবেন আপনার ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেনারেল স্টোর: জেনারেল স্টোর বা মালামালের ব্যবসা খুবই লাভজনক। এসব দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন– সাবান, শ্যাম্পু, সৌন্দর্য প্রসাধনী, কলম, খাতাপত্র ইত্যাদি রাখবেন।
জিম: আজকাল প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাস্থ্য ধরে রাখতে চায়। এজন্য অনেকেই জিমে যান। এটাকেই আপনি সুযোগ হিসেবে নিতেপারেন। একটি ভাল স্থান দেখে খুলে ফেলুন ব্যবসা। চাহিদা বাড়লে, উপার্জন বাড়লে বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে ফেলুন।
কম্পিউটার, ল্যাপটপ মেরামত: যদি আপনি কম্পিউটার, ল্যাপটপ মেরামত করতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য একটিভাল ব্যবসা হবে। যদি না পারেন তবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
সরকারিভাবেও প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। মাত্র ৩–৬ মাসের প্রশিক্ষণনিয়েই কম্পিউটার মেরামতের ব্যবসা খুলতে পারবেন।
হোম ক্যান্টিন: যেখানে জনসংখ্যা অধিক সেখানে কাজকর্মও বেশি। বেশি থাকে অফিস বা প্রতিষ্ঠান। কাজের চাপে অনেকেইদুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য অফিসের বাইরে যেতে পারে না। তাই আপনি বিভিন্ন অফিসে খাবার সরবরাহ করার জন্য হোমক্যান্টিন খুলতে পারেন।
এজন্য বাসাতেই রান্না করতে পারবেন। তারপর তা অর্ডার অনুযায়ী যথা সময়েই অফিসে পৌঁছে দিবেন।
উপহার সামগ্রীর দোকান: উপহার সামগ্রী, বাচ্চাদের খেলনা, ফুলের দোকান ইত্যাদির ব্যবসা খুলতে পারেন।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যসামগ্রী: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করেও অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
মুরগির ব্যবসা: খামার থেকে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ইত্যাদি কিনেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাত্র ২৫–৩০ হাজার টাকাবিনিয়োগ করেই লাভজনক এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়।
যেকোন কাজকেই সন্মান করতে শিখুন। কোন ব্যবসাকেই ছোট করে দেখবেন না। পাড়ার লোকে কি বলবে এত শুনলে পিছিয়েই যেতে হবে। তাই এসব ঝেড়ে ফেলে আপনি একটা কাজে লেগে যান। সফল হবেন ইনশাল্লাহ।
সূত্র: ব্রাইটফ্লাংক