বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


বই পড়ার একুশ ফল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আর মাত্র কয়েক দিন পরেই শুরু হবে বাঙালি জাতির মহা উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বইপ্রেমীদের প্রাণের মিলনমেলা। একুশে উপলক্ষে বই পড়ার একুশটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো। বিভিন্ন ওয়েবসাইট অবলম্বনে এই লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।

১. জ্ঞানের ভান্ডার বই
জ্ঞানের ভান্ডার বৃদ্ধি করতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। হোক সেটা ফিকশন বা নন-ফিকশন বই। জ্ঞানের পরিধি অসীম। যত বই পড়ব, আমাদের জ্ঞান তত বৃদ্ধি পাবে।

২. ভাবনার জগৎকে প্রসারিত করে
বই পড়া মানে নানান বিষয় সম্পর্কে জানা। মানুষের মননশীল, চিন্তাশীল, সৃষ্টিশীল যাবতীয় ভাবনার সূচনা ঘটে বই পড়ার মাধ্যমে।

৩. লেখার দক্ষতা বাড়ায়
যত বেশি বই পড়ব, আমাদের ভাষাগত জ্ঞান, শব্দভান্ডার তত বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে লেখার দক্ষতাও বাড়বে।

৪. মানসিক প্রশান্তি আনে
নিজের পছন্দের বই, গল্প, উপন্যাস বা যেকোনো লেখা পড়লে মানসিকভাবে অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়। মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিমূলক বই খুব উপকারী।

৫. জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে
বই আমাদের বিশ্বের সফল মানুষ সম্পর্কে জানায়। যেমন প্রথমা প্রকাশনের একটি বই বাংলাদেশের নায়কেরা। এ বইটিতে বাংলাদেশের গুণীজনদের জীবনের নানা কথা আছে। এ ছাড়া স্টিভ জবস, ওয়ারেন বাফেট প্রমুখের জীবনী পড়লে তাঁদের সম্পর্কে জানা যায়। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতার কথা জানা যায়, যা জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে।

৬. জীবনে ধনী হতে সহায়তা করে
যে যত বেশি জ্ঞানী, সে তত বেশি ধনী। আবার অন্যদিকে বিশ্বে যাঁরা ধনী হয়েছেন প্রত্যেকেই বইপ্রেমী ছিলেন। বারাক ওবামা, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ প্রত্যেকেই প্রচুর বই পড়েন।

৭. বই আমাদের তথ্য, উপাত্ত ও জ্ঞান দেয়
বই পড়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য, উপাত্ত পাওয়া যায়।

৮. ভালো বন্ধুর ভূমিকা পালন করে বই
যখন আপনি নিজেকে একা এবং অসহায় মনে করবেন, তখনই একটি বই পড়া শুরু করুন। খুব শিগগির এটা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। আপনি যদি দুঃখী হন, বই আপনাকে আনন্দ দেবে, সঙ্গ দেবে।

৯. মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি
শরীরের অন্যান্য অংশের মতোই মস্তিষ্কের ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন গোয়েন্দা উপন্যাস কিংবা মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বই পড়লে একধরনের উত্তেজনা-উদ্দীপনা কাজ করে। মস্তিষ্ক উদ্দীপনাময় এবং কর্মচঞ্চল থাকলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।

১০. মনুষ্যত্ব জাগ্রত করার সিঁড়ি
বই মানুষের মানবতা ও মনুষ্যত্ব জাগ্রত করে। প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।ঢাকায় বেঙ্গল বই–এ বই পড়ছেন বন্ধুসভার দুই বন্ধু
ঢাকায় বেঙ্গল বই–এ বই পড়ছেন বন্ধুসভার দুই বন্ধু

১১. বই আত্মার ওষুধ
‘আত্মার ওষুধ’ এ কথাটি গ্রিসের থিবসের লাইব্রেরির দরজায় খোদাই করা আছে। তারা বিশ্বাস করে বই হলো আত্মার চিকিৎসার প্রধান উপকরণ।

১২. রক্তচাপ কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু বই পড়লে অনেকটা রক্তচাপ কমে যায়।

১৩. জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ায়

বই পাঠকের জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ায়। সেই দ্যুতি একজন পাঠককে আলোকিত করে। একই সঙ্গে আলোকিত করে পুরো জাতিকে।

১৪. শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করে
শুধু পাঠ্যবই পড়ে শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। যখন আমরা দেশি-বিদেশি নানা ধরনের বই পড়ব, তখনই আমাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পাবে।

১৫. স্মরণশক্তি বাড়ায়
যখন আমরা একটি গল্প বা উপন্যাস পড়ি, তখন চরিত্র, চরিত্রের নাম, ধরন, কাহিনি, উদ্দেশ্য, ইতিহাসসহ বিভিন্ন জিনিস মনে রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রচুর ব্রেইন ওয়ার্ক হয়; যা স্মরণশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

১৬. মানসিক চাপ কমায়
প্রাত্যহিক জীবনের যেকোনো ধরনের মানসিক চাপকে পাশ কাটিয়ে যেতে একটা ভালো বই পড়াই যথেষ্ট।

১৭. বিনোদনের মাধ্যম
বই শুধু জ্ঞান অর্জন বা তথ্য আহরণের উপায় নয়। একই সাথে বই বিনোদনও প্রদান করে। পাঠকের অনুভূতি নিয়ে দারুণভাবে খেলা করে বই।

১৮. বইয়ের নির্যাস আছে
বইয়ের একটা নিজস্ব নির্যাস আছে। পাতার একটা গন্ধ আছে। যেটা পাঠককে আচ্ছন্ন করে। বিভিন্ন ব্লগ, সাইট, অ্যাপসে লেখা পড়ে প্রকৃত বইয়ের নির্যাসটা পাওয়া যায় না।

১৯. সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়
বই পড়লে মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। সৃজনশীল কিছু করার আগ্রহ জন্মে।

২০. বিশ্লেষণধর্মী কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি

একটা বই পড়তে পড়তে অনেক সময় পাঠক তার মতো করে গল্পের শেষটা ভাবতে থাকে কিংবা রহস্য উপন্যাসে নিজেই রহস্যটা উন্মোচন করে ফেলে; যা পাঠকের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২১. ব্যক্তিজীবন উন্নত করে
ব্যক্তিজীবনের উন্নতি শুরুই হয় বই পড়া থেকে। নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা, কোনো সমস্যার নতুন সমাধান পাওয়া যায় বই থেকে। সর্বোপরি ব্যক্তিত্ব গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। প্রথম আলো ।

লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রথম আলো বন্ধুসভা, জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ