অনলাইন ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হলে এক দফা আন্দোলন করবে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট। গতকাল রোববার ৯টার দিকে বিএনপি চোয়রপারসন।
গতকাল রবিবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বেগম জিয়ার সভাপতিত্বে প্রায় দুই ঘন্টার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন জোট নেতারা। বৈঠকে সাম্প্রতিক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বেগম জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জোট নেতারা জানান, সরকার আদালতকে প্রভাবিত করে রায়ে বেগম জিয়ার সাজা দিলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু করা হবে। পাশাপাশি আইনি লড়াই চলবে। জোট নেতারা ঐক্যমত পোষণ করেন যে, খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে না ২০ দলীয় জোট। খালেদা জিয়াও সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সরকার কোনো ‘ষড়যন্ত্র করে রক্ষা’ পাবে না।
জোট নেতারা মনে করেন, আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটকে বাইরে রেখে আবার নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। যার ধারাবাহিতকায় এ মামলায় রায়কে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে খালেদা জিয়ার আহ্বানে জোট নেতারা সাড়া দেবেন বলেন বৈঠকে ঐক্যমত হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে নতুন শরিক দল হিসেবে মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নেজামে ইসলাম পার্টি আপাতত যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত হয়।
ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি জানান, মুফতি ইজহারুলের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড বিচার করে, বিশেষ করে জোটের মতমতের ভিত্তিতে আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসএস/