আওয়ার ইসলাম: ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র ভারত সফরের প্রতিবাদে মুম্বাইতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজা একাডেমি, সুন্নি জামিয়াতুল উলামা, মুসলিম কাউন্সিল ও রেহমানি গ্রুপের পক্ষ থেকে যৌথভাবে ওই বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘গো ব্যাক, গো ব্যাক, নেতানিয়াহু গো ব্যাক’ লেখা সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে। এছাড়া কালো পতাকা প্রদর্শন এবং স্লোগান দেন। এদিন বিক্ষোভকারী সদস্যরা বাইকুল্লা থেকে তাজ হোটেল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। পরে রাজা একাডেমীর সামনে তারা ধর্না-অবস্থান করেন। মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু’র মুম্বাই সফর আসলে প্রচার কৌশল।
২০০৮ সালে মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলায় নিজের মা-বাবা হারানো ১১ বছরের মোশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নেতানিয়াহু। পরে তিনি মুম্বাইয়ের নরিম্যান হাউসে যান।
রাজা একাডেমির মহাসচিব সাঈদ নূরী বলেন, কোনো অনাথের প্রতি সংহতি প্রদর্শন ঠিক আছে কিন্তু ওইভাবে নয় যেরকমটা নেতানিয়াহু করছেন। ২৬/১১ তে মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলায় নিজের বাবা-মা হারানো আরো শিশুরা ছিল, তাদের সম্পর্কে কী আছে? তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে অনুমতি না দেয়ায় পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেন। একইদিনে সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকেও দক্ষিণ মুম্বাইয়ে এ ধরণের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকায় নরিম্যান হাউস বা চাবাড হাউসটি চালান ইহুদিরা। রাব্বি গ্যাব্রিয়েল হোল্টজবার্গ ও তার স্ত্রী রিভকা এই হাউসটি পরিচালনা করতেন। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসী হামলায় নরিম্যানে যে ৮ জন নিহত হয়, তাদের মধ্যে ছিলেন ওই দম্পতি।
সেসময় তাদের দুই বছরের সন্তান মোশে হোল্টজবার রক্ষা পেয়েছিল। মোশেকে পরে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। গতবছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইল সফরে গিয়ে নেতানিয়াহু’র পাশাপাশি মোশেকেও ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই মোশেই এখন ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে মজবুত সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম সেতু হয়ে উঠেছে।
এইচজে