শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

ইসলামে কোনো ব্যক্তিপূজা নেই: মুফতী মনসূরুল হক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী মনসূরুল হক
শাইখুল হাদিস, জামিয়া রাহমানিয়া মোহাম্মদপুর

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে চারজনের মর্তবা ইজমা দ্বারা ছাবেত। তাই এ নিয়ে মতপার্থক্য কারও জন্য জায়েজ নেই। আবু বকর সিদ্দিক, ওমর ফারুক, ওসমান গনি ও আলী রা. সিরিয়ালভাবে এই চার জনের মর্তবা উম্মতের মধ্যে সবার ওপরে।

এ চার জনের পরে কে? এ বিষয়ে অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরাম তাবেয়িন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথা বলেছেন। কেউ কেউ অন্যকারও কথাও বলেছেন। তবে অধিকাংশের মত এটি।

আমাদের মাজহাবের (হানাফি) ভিত্তি কিন্তু তার ওপর। শাফি মাজহাবের ভিত্তি আবদুল্লাহ ইবনে ওমরের ওপর। প্রত্যেকটি মাজহাবের ভিত্তি একেকজন সাহাবির ওপর।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর বিষয়ে নবী করিম সা. বলেন, আমার উম্মতের জন্য ইবনে মাসউদ যা ভালো মনে করেন, আমিও তা ভালো মনে করি। ওপেন ভিসা। তিনি উম্মতের জন্য কী পছন্দ করবেন তা তো আর নবীজির জানা ছিল না।

তাকে ওমর রা. কুফা পাঠানোর কিছুদিন পর। সব এলাকায় বায়তুল মালের ভাতা দ্বিগুণ হয়ে গেছে কিন্তু কুফায় হয়নি।

কুফাবাসি ওমর রা. কে বললেন, সবার ভাতা দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভাতা দ্বিগুণ হয়নি কেন?

ওমর রা. বললেন, তোমাদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে না। কেননা আমি তোমাদের আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে দিয়েছি। অথচ তাঁকে আমার কাছে রাখা দরকার। তোমরা যদি দ্বিগুণ ভাতা পেতে চাও, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে আমার কাছে দিয়ে দাও।

তোমরা দীন বেশি পাচ্ছো, তাই দুনিয়া কম পাবে। এতো মর্তবা হজরত ইবনে মাসউদ রা. এর।

তো তাঁকে একবার তার শাগরেদগণ বললেন, আল্লাহর প্রিয় হাবিবের সাহাবি। আপনি হাদিস বলেন, আর আমরা তা শুনি এবং তা আমল করি। কিন্তু সবকথা তো শুনে শেষ করা যায় না। সুতরাং আমরা চাচ্ছি আপনার কাজকর্ম চলাফেরা দেখে দেখে তার অনুসরণ করে তার ওপর আমল করতে।

কিন্তু তার শাগরেদগণকে এ বিষয়ের অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, আমি এখনও জীবিত। আর জীবিত মানুষ ফেতনা থেকে নিরাপদ না। জীবিত মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় যেকোনো ফেতনায় জড়িয়ে যেতে পারে। তাই তোমরা ওই ব্যক্তির কাজকর্মকে অনুসরণ করতে পারো যিনি ঈমান নিয়ে চলে গেছেন।

সেখানে আরবি এবারতে আছে, ‘ফা ইন্নাল হাইয়া লা তু’মানু আলাইহিল ফিতনা।’ এটা দ্বারা তিনি কী বুঝালেন? বুঝালেন যে, ইসলামে কোনও ব্যক্তি পূজা নেই।

কোনো ব্যক্তিকে অনুসরণ করতে হলে, তাকে কুরআন হাদিসের নিরিখে যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে। তারপর তাকে অনুসরণ করা যাবে। এর ফলে তো আসলে ব্যক্তিকে মানা হচ্ছে না। বরং কুরআন হাদিসকেই মানা হচ্ছে। কোনো পীর বুযুর্গকে মানা হচ্ছে না। কুরআন হাদিসকেই মানা হচ্ছে।

নবীজি মক্কা মদিনাকে দলিল বানাননি। তিনি কুরআন হাদিসকে দলিল বানিয়েছেন। তিনি বলেননি, মক্কা মদিনার লোকেরা তার অনুসরণ করো।

মক্কা মদিনাও দলিল না, আর দেওবন্দও কোনো দলিল না। যাকে আমরা কুরআন হাদিসের ওপর পাবো তাকে অনুসরণ করবো।

আমার নিজের এক ওস্তাদ। তিনি যতদিন কুরআন হাদিসের ওপর পেয়েছি, তাকে মেনেছি। যখন দেখলাম তিনি কুরআন হাদিস থেকে সরে এসেছেন, আমি বললাম, আমি আর এখানে নেই। আমি তাকে আর মানিনি।

হজরত ওমর রা. খলিফাতুল মুসলিমিন থাকা অবস্থায় একবার মিম্বরে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি যদি সুন্নত থেকে সরে আসি তাহলে তোমরা কী করবে?

হজরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হকের সব বয়ান কিতাব ও মালফুজাত পড়তে ইনস্টল করুন ইসলামী যিন্দেগী অ্যাপ

সঙ্গে সঙ্গে একযুবক হাতে তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, এ তরবারি দেখেছেন? এটা দিয়ে আপনার গর্দান উড়িয়ে দিবো।

দেখেছেন, একযুবক খলিফাতুল মুসলিমিনকে কী বললেন? সুতরাং ইসলামে কোনো ব্যক্তিপূজা নেই।
আল্লাহ আমাদের সবধরনের ব্যক্তিপূজা থেকে হেফাজত করুক।

People worship

The status of The 4 sahaba’s (khulafa-e-rashedien) among all the sahaba’s has already been established through The Ijma of the ulama of the past and present. Not only, there wasn't or won't be any controversy about it but also it is forbidden to have a different opinion about that.

Chronologically they are Hazrat Abu Bakr R., Hazrat Umar R., Hazrat Usman R., Hazrat Ali R. they are the top four in the Ummah.

According to most of the Sahaba R., Tabeyen, Tabe-Tabeyen Abdullah Ibn Masud R. owns the status of 5th position. He is considered the base of Hanafi Fiqh because Fiqh-e-Hanafi's maximum narrations of Hadith came from Him. Fiqh-e-Shafi's base is Abdullah Ibn Umar R. Similarly every school of Fiqh's root is based on at least one of the Sahaba.

Rasulullah SM. has said "whatever Abdullah Ibn Masud thinks good for my ummah I

Muhammadur Rasulullah think that is good too." He was sent to Kufa to teach people Deen during the Khilafah of Umar R. After sometime the allowance of the civilian from baitul maal were doubled in every province except of Kufa.

People of kufa the raised this issue to Amir ul Mu'mnin Umar R. Umar R. then replied to the people of Kufa, “I have given you Abdullah Ibn Masud so, your allowance won't be doubled but if you want your allowance to be doubled you will have to return Abdullah Ibn Masud back to me. I need him more with me then you do. I have sacrificed my own needs and gave you Abdullah Ibn Masud.”

Imam Abu Hanifa became Imam Abu Hanifa because of Abdullah Ibn Masud.

Once Abdullah Ibn Masud's students told him "whatever Hadith you teach, we learn and practice it but it is rather hard to listen every Hadith and follow so we wanted from now on whatever you do, we will just follow it, act on it."

But He refused their proposal then and there and informed them I am still alive and no alive individual is not safe from Fitna, May Allah forbid he even become Murtad so don't do any amal just because you saw me doing it.

Those who already have left this world with Iman, their actions are in front of you and if you wish you can act upon it.” What He meant was in Islam there is no place for "People worship" or blindly following any person’s actions.

First his actions will be cross matched with Quran and Sunnah, if it matches he can be followed, as a Mentor, Shayekh, and Leader etc. In reality by following him or his actions one is following Quran and Hadith. Prophet SM. didn't make Mecca or Madina a place to be followed upon. He SM. never said follow whatever happens in Mecca or Medina. Mecca, Madina or Deoband as matter of fact is not a source of following/obeying. May Allah grant us freedom from all kind of "People worship".

We will be with a person as long as he is a strict follower of Quran and Sunnah. A man may was very pious, but as soon as he has diverted his motion from Quran and Sunnah we will leave him instantly. I myself had many teachers who I have learnt from.

I have followed their instruction for that long they were based on Quran and Sunnah. Because Quran and sunnah didn’t teach me "People worship", I have left them whenever I have found anything contradicting with Quran and Sunnah. Even when Hazrat Umar R. was Khalifah, He asked the sahaba in a gathering "what would you do if you find me doing anything against The Sunnah".

One young Sahabi stood up, he then opened his sowrd and replied we will not follow you instead I kill you with my sword.

I will follow so and so, though he is against Quran and Sunnah; to have this kind of views are an example of "People worship" which Allah forbids and it will mislead and misguide a person.

We ask refuge from all kind of "People worship" to Allah. Ameen.


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ