আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সৌদি ধনকুবের উসামা বিন লাদেনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে নাম ছড়িয়ে পড়ে সৌদি আরবের ‘সৌদি বিন লাদেন গ্রুপ (এসবিজি)। আধুনিক সৌদি আরবের নির্মাণে উসামা বিন লাদেনের পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের ভূমিকা। আর উসামা বিন লাদেন ছিলেন এ গ্রুপের কর্ণধার।
২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা হওয়ার আলোচনায় আসে লাদেন কোম্পানি। তখন পযন্ত বিন লাদেন গ্রুপ ছিলো সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় রিয়েল স্টেট কোম্পানি। দেশের টেলিফোন শিল্পেরও নিয়ন্ত্রণ ছিলো তাদের হাতে।
সময়ের পরিবর্তনে সৌদি বিন লাদেন গ্রুপের সেই জৌলুস না থাকলেও তা এখনও সৌদি আরবের অন্যতম প্রধান প্রাইভেট কোম্পানি। এখনও ১ লাখ কর্মী কাজ করে সৌদি আরবের বৃহৎ এ নির্মাণ কোম্পানিতে।
কিছু দিন পূর্বে বিন লাদেন গ্রুপকে রাষ্ট্রীয়করণের দাবি উঠলেও শেষ পযন্ত তা করা হয় নি। গতকাল শনিবার সৌদি বিন লাদেন কোম্পানির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এটি প্রাইভেট কোম্পানি। এর মালিক তার শেয়ার হোল্ডারগণ।
সৌদি আরবের রিয়েল স্টেট জায়ান্টখ্যাত এসবিজি এখনও সৌদি আরবের কয়েক ডজন মেগা প্রজেক্টে কাজ করছে।
যার মধ্যে রয়েছে, হারাম ও মসজিদে নববির উন্নয়ন প্রকল্প এবং জমজম কূপের সংস্কার।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখন তারা সরকারের সঙ্গে আরও সহযোগিতাপূর্ণ কাজ করবেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসবিজি তহবিল সংকটে পড়ে এবং শেয়ার হোল্ডার ও কর্মীদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হলে সরকার কোম্পানিকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়।
সংকট কাটাতে আরব ন্যাশনাল ব্যাংক ও সৌদি ব্রিটিশ ব্যাংক এসবিজিকে দীর্ঘ মেয়াদে ২.৫ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল ঋণ দিয়েছে।
এ অর্থ দিয়ে গ্রুপটি তাদের ১০ হাজার কর্মীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে।
এসবিজির বর্তমান সংকট কাটাতে ৩০ জন অর্থনীতিবিদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা বর্তমান সংকট কাটাতে কোম্পানিকে সহযোগিতা করবে।
এছাড়াও বিনলাদেন গ্রুপ তাদের ২ লাখ বিদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৭০ হাজারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে।
মসজিদুল হারামের উন্নয়নে সৌদি সরকারের কাছে ৮১৭ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল ঋণ চেয়েছে এসবিজি। ঋণটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সৌদি বিন লাদেন গ্রুপের এ দুর্দিন তৈরি পেছনে দায়ী করা হচ্ছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কবে যাওয়া। তেলের দাম কমার কোম্পানির সরকারি ও বেসরকারি কাজের কন্ট্রাক্ট কমে যায়।
এছাড়াও দুই বছর আগে মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনার জন্যও এসবিজি সমালোচিত হয়। এতে ১০৭ হাজি নিহত হয়।
সূত্র : আরব নিউজ