শাহনূর শাহীন: ভারতে দিল্লির নেজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসা ফেরাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি যাত্রাবাড়ীতে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সামনে চলছে বিক্ষোভ। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা।
বিক্ষোভে বক্তব্য দেন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস। বলেন, ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তের বাইরে মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এলে তা বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, মাওলানা সাদকে আনার চেষ্টা করা হলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
মাওলানা সাদ যতক্ষণ পর্যন্ত গোমরাহি বক্তব্য থেকে ফিরে এসে তওবা না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে দেয়া হবে না।
সেখানে উপস্থিত আছেন, তাবলিগের পাঁচ উপদেষ্টার অন্যতম আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাজহফুজুল হক, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ অসংখ্য উলামায়ে কেরাম।
বক্তব্যে বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা সাদকে দেশে আনা হলে এদেশের আলেম উলামা, তৌহিদি জনতা ও তাবলিগি ভাইগণ প্রতিহত করবেন। তারা কখনো এমন অন্যায়কে মেনে নেবেন না। মাওলানা সাদ তখনই আসতে পারবেন যখন তিনি তার বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করলেই আসতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভক্তি চাই না, ঐক্য চাই। নিজামুদ্দিনে যে বিভক্তি হয়েছে সেটি রেখে তারা আসতে পারবেন না। একত্রিত হলে ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত, ভারতের মতামত প্রতিবেদন আকারে সরকারকে দিয়েছি। সেগুলো উপেক্ষা করে মাওলানা সাদ আসতে পারেন না।
মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, মাওলানা সাদ তার বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার না করলেেএ দেশে তাকে আসতে দেওয়া হবে না। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে অবিলম্বে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। সবার সম্মতিক্রমে আমাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের মুরুব্বি আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্ত্বে আমাদের এই পদক্ষেপ।
এসএস/