শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


থানকুনি পাতার ১০ গুণ এবং প্রস্তুত প্রণালী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাজিদ নূর সুমন
ফিচার রাইটার

গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।

ভাবছেন এ আবার কেমন খবর ৷ পাতা খেলে যৌবন থাকবে অটুট ! অবাক হওয়ার কিছু নেই, আমাদের প্রকৃতির ঢেলে দিয়েছে এমন অনেক কিছু যা দিয়ে সুস্থ থাকা খুবই সহজ হয়ে যায় ৷ আর যা পাওয়া একেবারেই কঠিন নয় ৷

এরকমই এক প্রকৃতির উপাদান থানকুনি পাতা ৷ পুকুরপাড় বা জলাশয়ের আশপাশে দেখা যায় এই পাতা ৷ অনেকেই এই পাতা বেঁটে খান, রান্নায় ব্যবহার করেন ৷ আবার অনেকে জঙ্গল ভেবে একপাশে সরিয়ে ফেলেন এই থানকুনি পাতাকে ৷

আয়ূর্বেদ চর্চায় থানকুনি ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই ৷ থানকুনি পাতার রস দিয়ে বহুকাল থেকেই তৈরি হয় বহু ওষুধ ৷ কিন্তু জানেন কি, থানকুনি পাতা আপনিও ব্যবহার করে থাকতে পারেন সুস্থ ৷

১. পেটের রোগে যারা নিয়মিত ভোগেন, তারা রোজ থানকুনি পাতা খান ৷ সকাল বেলা খালি পেটে কয়েকটা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে ভাল ফল পাবেন ৷

২.  কেবল পেটের ব্যথা ছাড়াও আলসার এবং বিভিন্ন চর্মরোগ থানকুনি দ্বারা নিরাময় করা সম্ভাব। থানকুনির ব্যবহার আরও বিভিন্নভাবে করা যায়। যেমন- স্কিনের উজ্জলতা এবং নতুন চুল গজাতে এর ব্যবহার বলে শেষ করা যায় না।

৩. ত্বকের জেল্লা বাড়াতে থানকুনি পাতার রস খুবই ফলদায়ক ৷ থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

৪. চুল পড়া আটকায় থানকুনি পাতা ৷ এমনকী, থানকুনি পাতার রস রোজ মাথায় লাগালে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ৷

৫. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনির পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে পেটের গ্যাস্টিক ভাল হয়।

৬ দাঁতের ব্যথা কমাতে থানকুনি পাতা ভাল ফলদায়ক ৷

৭. যারা অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাদের জন্য মহৌষধি হতে পারে থানকুনি পাতা। ডায়াবেটিস রোগীরা দিনে দু’বার থানকুনির রস খেলে কার্যকরী ফল পাবেন।

8. বেগুন/পেপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুঁকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৯. এক গ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ ফোটা থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে লাবণ্য বাড়ে ৷

১০. কোনো পুরাতন ক্ষত নিরাময় না করতে পারলে সেদ্ধ থানকুনি পাতার প্রলেপ দিলে অনেক বেশি উপকার হয়।

থানকুনির ভর্তা কিভাবে করা যায়-
উপকরণ
থানকুনি পাতা ৪০-৫০তি, রসুন একটি, কাচা মরিচ একটি, লবণ পরিমাণ মত।
প্রস্তুত প্রণালী
থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেটে মরিচ, রসুন,লবন মিশিয়ে বাটায় বেটে নিলেই ভর্তা প্রস্তুত হয়। থানকুনি পাতা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। ভর্তা করে বা কাঁচা পাতা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।


সম্পর্কিত খবর