আওয়ার ইসলাম : প্রয়াত চারজন রাজনীতিবিদের জীবনের নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সততাই রাজনীতিবিদের প্রধান হাতিয়ার। তারা সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকলে দেশের উন্নতি হয়। আর এই সততার জোরে তারা অর্থ বা পেশীশক্তিকে পরাজিত করে ভোটেও জয়ী হতে পারেন।
রবিবার দশম সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক, গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের উদাহরণ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। সংসদের অধিবেশন ডাকা হলে শুরুতেই চলমান বা সাবেক কোনো সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী অথবা বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। এই প্রস্তাব তোলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু, কামাল আহমেদ মজুমদার, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, মীর শওকত আলী বাদশা ও এবি তাজুল ইসলাম প্রমুখ শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
ছায়েদুল হককে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছায়েদুল হকের মতো একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মন্ত্রী পেয়েছিলাম। তিনি দক্ষতা ও সততার সঙ্গে মন্ত্রণালয় চালিয়ে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে তার ভূমিকা রয়েছে।
জনপ্রিয়তার কারণে ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনেও ছায়েদুল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা করেও নির্বাচনে তাকে হারাতে পারেনি।’
সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফাকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোলাম মোস্তাফা তৃণমূলের নেতা ছিলেন। তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়ে থেকে সবসময় আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতেন।
আরএম/