বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


সমাজ বিনির্মাণে আমি তিনজন যুবক চাই : ড. মাওলানা মোশতাক আহমদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব
ইজতেমা থেকে

বিশিষ্ট গবেষক ও চিন্তক আলেম ড. মাওলানা ড. মোশতাক আহমদ বলেন, নাফ নদীতে ভাসছে মাজলুমের লাশ। আমাদের বায়তুল মোকাদ্দাসের ইট নিয়ে টানাটানি করছে ইহুদিরা। পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্তে শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তথাকথিত আইএস এখন নিশ্চুপ। এরদ্বারাই প্রমান হয়, তারা কখনই ইসলামের পক্ষের শক্তি ছিল না। তারা সুক্ষ্মভাবে ইসলামের বিপক্ষ শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছিল।

আজ রাজধানীর আফতাবনগর মাদরাসায় আত্মশুদ্ধি ও আমলি প্রশিক্ষণের লক্ষে চলমান তিন দিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমার প্রথম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশতাক আহমদ বলেন, আমাদের এ দুরবস্থায় আমরা কাউকে পাশে পাচ্ছি না। কারণ আমরা মুসলমান।  এমন সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা থেকে সমাজ, দেশ ও পৃথিবীকে পরিত্রাণ দিতে দরকার মাত্র তিনজন সৎসাহসী যুবক। যাদের চোখে মুসলমানরা পৃথিবী দেখবে। তারা হবে মুসলমানদের মুক্তির বাহক।  তারা অবৈধ অস্ত্রবহনকারীদের মতো অস্ত্রের বলে সমাজকে অশান্ত করে তুলবে না। তারা ঈমানে হবে দৃঢ়, আমলে হবে একনিষ্ঠ, কর্মে হবে জানবাজ, স্বভাবে হবে বিনয়ী।

তিনি এই যুবকদের গুণাগুণ বর্নণা করতে গিয়ে বলেন,  তারা শেষরাতে অচেতনভাবে ঘুমিয়ে থাকবে না, প্রভুর দরবারে ফেলবে চোখেরজল। চোখেরজলে তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা, মায়া, মমতা ফিরিয়ে আনবে।

তিনি আরও  বলেন, আজকের এ ইজতেমা ওই তিনজন যুবক তৈরির আশাই আয়োজিত। এ জন্যই এ ইসলাহি ইজতেমায় ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি হাতেধরে সমাজের সংস্কারকমনা যুবকদের ইসলামি হুকুম-আহকাম শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

আমি মাত্র তিনজন যুবক চাই। মাত্র তিনজন যুবকের চোখের পানিই সমাজ বিনির্মাণের জন্য যথেষ্ট। আমার প্রত্যাশা আমি এ মজলিসের ওসিলায় অদূর ভবিষ্যতে সেই যুবকদের সন্ধান পাবো। চোখেরজল হবে যাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

প্রসঙ্গত,  আত্মশুদ্ধি ও আমলি প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুম ঢাকা আফতাবনগর মাদরাসা প্রাঙ্গনে আজ থেকে ৩ দিনব্যাপী ইসলাহি ইজতেমা শুরু হয়।

পর্যায়ক্রমে ফজরের নামাজ ও জিকিরের মজলিসের পর ইজতেমায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র ওস্তাদ মাওলানা মুনিরুদ্দীন কাসেমি।

তিনব্যাপী এ ইজতেমায় ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও প্রখ্যাত ওয়ায়েজিনে কেরাম দীনি বিষয়াদী প্রশিক্ষণ দেবেন।

উল্লেখ্য,  এ ইজতেমায় নারীদেরকে নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে এবং পুরুষদের পুরুষ শিক্ষকের মাধ্যমে ইসলামের প্রাথমিক বিধানাবলি ও দোয়াকালাম প্রেক্টিক্যালভাবে শেখানো হচ্ছে।

৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোনাজাতের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শেষ হবে।
অনুষ্ঠানটি এই লিঙ্কে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে : https://www.facebook.com/faisal.omar.967


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ