বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

পুলিশ সদস্য বললেন, বেতন পেয়ে আমিও আপনাদের মত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাইফ রহমান: রাত চারটা। কনকনে শীত। কম্বল মুড়ি দিয়ে সবাই ঘুমে বিভোর। কিন্তু সিলেটের একদল আলেমের চোখে ঘুম নেই। তাদের চিন্তা পথঘাটের শীতার্ত মানুষের নিয়ে।তারা কেমন আছে এই কঠিন শীতে। কিভাবে ঘুমাচ্ছে তারা।

শুধু কী চিন্তা করলেই হবে? না। তারা শুধু চিন্তা করে বসেও থাকেন নি। ঠিক ৪টার সময় কঠিন শীত, মজার ঘুম উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়েন শহরের অলিগলিতে। কম্বল নিয়ে চষে বেড়ান পুরো শহর।

যেখানেই দেখেন অসহায় মানুষ ঘুমে, সেখানেই তাদের যাত্রাবিরতি। পথিমধ্যে কেউ কেউ পলিথিন মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আহ! কী কষ্ট। তাদেরদেকে দেখে আলেমরা একেকটা কম্বল নিয়ে চাপিয়ে দেন তাদের গায়ে।

দেখা গেছে কেউ কেউ শুধুমাত্র তাদের পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে টেনেটুনে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। কিন্তু কী আর করা! এছাড়া যে উপায় নেই তাদের। কত কষ্ট! তাদের এই করুণ অবস্থা দেখে দলবদ্ধ আলেম শীতার্তদের গায়ের উপর কম্বল মুড়িয়ে দিলেন।

আবার দেখা গেছে কেউ কেউ এই শীতের মধ্যে খালি গায়ে ঘুমাচ্ছে। শরীর আবৃত করার মত কিছু নেই। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তা দেখে আলেমদল তাদের ঘুমে রেখেই কম্বল পেঁচিয়ে দেন।

এখন একটু ভাবুন! মুয়াজ্জিন সাহেবরা আসসালাতু খাইরুআম্মিনান্নাউম বলার সাথে সাথে যখন তাদের ঘুম ভাঙবে, কী যে ভালোলাগার আবহ সৃষ্টি হবে তাদের অন্তরে। আল্লাহু আকবার। মন থেকে দোয়া আসবে। আর সেই দোয়া কখনো বিফলে যাবে না।

শীতার্ত ঘুমন্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করার পরে দেখা গেছে আরো অনেক মানুষ বাকি থেকে গেছে। এখনো অনেক অসহায় মানুষ হাহাকার করছে। কেউ কী এগিয়ে আসবেন তাদের জন্য?

আলেমরা যখন কম্বল বিতরণ শেষে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন, ঠিক তখন পুলিশ সদস্য তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা এতরাত কী? আলেমদের দলপ্রধান, জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীর বাজার সিলেট-এর সিনিয়র মুহাদ্দিস শাহ মমশাদ আহমদ রাতের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।

পুলিশ সদস্য আলেমদের এমন কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে খুশি হন। তারা অঙ্গীকার করেন, আগামী মাসের বেতন পেয়ে আমিও আপনাদের মত শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করবো। ইনশাআল্লাহ

আলহামদুলিল্লাহ্‌! এভাবে যদি কাজ হয়, সহায়রা অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, কতইনা ভালো হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহ উক্ত পুলিশ সদস্যসহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ