রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


ইসলামী আন্দোলন-এর নেতার মামলায় নাস্তিক ব্লগার আসাদ নুর গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগার আসাদ নূরকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

সোমবার সন্ধার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউরোপে থাকা নাস্তিক মুফাস্সিল ইসলামারে ফেসবুক লাইভ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আসাদকে গ্রেফতারের পর মুফাস্সিল ফেসবুক লাইভে এসে জানায়, আসাদ এর আগে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো, কিন্তু আইন জটিলতায় সেখানে থাকতে পারেনি। পরে সেখান থেকে নেপাল চলে যায়।

পরবর্তী ইউরোপে থাকা মুফাস্সিলসহ অন্যান্যদের পরামর্শে বাংলাদেশে এসে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।

বাংলা ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, আসাদ নূরের বিরুদ্ধে এ বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আমতলী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (নম্বর ১৪) দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমতলী শাখার সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক।

মামলায় আসাদের বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহম্মদের সা. বিরুদ্ধে কটূক্তির  অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশ ও  আমতলী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনার আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ব্লগার আসাদ নূর ও তার এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলার পরপরই লিমন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আসাদ নূর পলাতক ছিলেন।

সোমবার তিনি বিমানবন্দর দিয়ে নেপালে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের টিম তাকে আনার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘এর আগে আসাদ নূর কিছু দিন ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আমরা তার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম।’

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আসাদ নূর নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই রেড নোটিশ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাধব চন্দ্র দে বলেন, ‘আসাদ নূরের বাড়ি আমতলীর উত্তর টিয়াখালী। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।’

জানা যায়, নিজেকে নাস্তিক হিসেবে প্রচার করতে চাইলেও আসাদ নূর ছিলো মূলত ইসলাম বিদ্ধেষী ব্লগার। সম্প্রতি পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়ে ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছেড়েছিলো আসাদ।

এছাড়াও সে প্রতিনিয়ত ইসলাম ও মুসলমান এবং আল্লাহ রাসুল সা. নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগে বাজে মন্তব্য এবং স্টাটাস আপলোড করতো।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছিলো বিভিন্নজন।

এসএস/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ