নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
একদিকে দেশে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছেন, দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার নামে মধ্যপ্রাচ্যে তোলপাড় করে ফেলছেন, অন্যদিকে দেশের বাইরে গড়ে তুলছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এবং তা শুধু বিলাসিতার জন্য। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের ব্যাপারে এমন তথ্যই বের হয়ে আসছে।
বছরখানেক আগে ৫০ কোটি ডলারের প্রমোদ তরী কিনে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর ৪৫ কোটি ডলারে কিনলেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা যিশু খ্রিস্টের ছবি। আর এবার বের হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী প্রাসাদের মালিক সৌদি এ প্রিন্স।
শ্যাটো লুইস ফোরটিন
ফ্রান্সে অবস্থিত ‘শ্যাটো লুইস ফোরটিন’ নামক ভবনটি তিনি কিনেছেন ৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৪০০ কোটি। ২ বছর আগে প্রাসাদটি যখন বিক্রি হয়, তখন ফরচুন ম্যাগাজিন একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাসভবন’ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
৫৭ একরের ল্যান্ডস্কেপে রয়েছে স্বর্ণপাতার ঝরনা, মার্বেলের ভাস্কর্য এবং আঁকাবাঁকা গাছের বেড়ার দেয়াল, যা গোলক ধাঁধার সৃষ্টি করে।
সিআইএর সাবেক পরিচালক এবং লেখক ব্রুস ও লেইডেল বলেন, ‘তিনি নিজের সাফল্যমণ্ডিত ভাবমূূর্তি গড়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দেখাতে চাচ্ছেন তিনি আলাদা চরিত্রের, তিনি একজন সংস্কারক, অন্তত সমাজ সংস্কারক এবং তিনি দুর্র্নীতিবাজ নন। তবে এটা (এসব বিলাসী কেনাকাটা) তার ভাবমূর্তির ওপর একটি ভয়াবহ আঘাত।’
ভিঞ্চির আঁকা চিত্রকর্ম
এইট ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিই ২০১৫ সালে রুশ ভোদকা প্রস্তুতকারক এক ধনকুবেরের কাছ থেকে মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য ৪৪০ ফুট দীর্ঘ ইয়াটটি কেনার ব্যবস্থা করেছিল।
এই কোম্পানি প্যারিস থেকে এক ঘণ্টা ড্রাইভের দূরত্বে লে রুভরে নামের ৬২০ একরের জমিদারি কিনেছে। শ্যাটোর স্থপতি দিয়েই সেখানে ভবন তৈরিসহ নানা কাজ করানো হচ্ছে বলে স্থানীয় টাউন হলের অনুমতিপত্রে দেখা গেছে।
সপ্তদশ শতকে নির্মিত প্রাসাদটিতে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির মিশেলে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে মদপানের কক্ষ, মুভি থিয়েটার, পানির নিচে স্বচ্ছ চেম্বারসহ নানা বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। এর ঝরনা, সাউন্ড সিস্টেম, লাইট এবং নিঃশব্দের এয়ার কন্ডিশনারগুলো আইফোনের মাধ্যমে দূর নিয়ন্ত্রিত।
সূত্র : ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকম