বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি বন্দুকের নলের ক্ষমতাবলে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অদ্য ১৬ ই ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্বরে ইশা ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ এর উদ্যোগে শাখা সভাপতি
মুহাম্মদ আবদুল মুকিত এর সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক
বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পদক্ষিণ শেষে শহরস্থ মাম্মা মিয়া পার্টি
সেন্টারে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় ।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে এ অঞ্চলের বঞ্চিত শোষিত মানুষের ন্যায্য
অধিকার আদায়ের দাবিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি বন্দুকের নলের
ক্ষমতাবলে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিলো।

আলোচনার টেবিলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ পরিত্যাগ করে তারা বন্দুকের নল আর কামানের গোলা বেছে নেয় সমাধানের উপায় হিসেবে । তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় বাঙালির ওপর। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা নামক পরম পাওয়া ধরা দেয় এ দেশের মানুষের কাছে।

দীর্ঘ নয়মাসের লড়াই ও ত্যাগের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি দেশের
জন্ম হলো বাংলাদেশ । আমরা স্বাধীন হয়েছি । একটি পতাকা ,সার্বভৌমত্ব,
একখন্ড স্বাধীন ভূমি পেয়েছি।

কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৪৬ বছর পর এসে একটা কথা শুধু- প্রকৃত যে স্বাধীনতা তা আজও আমরা পাইনি! নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ ৪৬ বছর পর এসেও চিৎকার করে বলতে হয় কেন? মানুষ দু’মুঠো ভাত পায় না।

কেন ধর্ষিত কিশোরী বোনের মুখ দেখবো? কেন বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে? কেন সীমান্তের কাঁটাতারে আমার বোন ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকবে? কেন সীমান্তে আমার দেশের নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হবে? তবে কেন এত হানাহানি, এত খুনোখুনি?

মুহা.আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,
এইচ.এম কাউছার আহমাদ, মাওলানা শাহাদাত হোছাইন, ডাঃ আল-আমিন
সাইফুল্লাহ, মানজুর এলাহী, মুহা.দিদার হোসাইন, হাবিবুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ