বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী

সব দোষ মুহতামিমের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান সিদ্দিকী: মাদরাসার মুহতামিমদের বদনামের শেষ নেই। সব দোষ তাদের। মুহতামিমরা সব জাহান্নামি! মুহতামিমের অত্যাচারে অনেকে মাদরাসা পড়ানো ছেড়ে দেন। অনেকে দাঁতে কামড় দিয়ে অবিচার সহ্য করে যান।

মুহতামিম উস্তাদ বিদায় করেন। বেতন দেন না। ছুটি দেন না। অতিরিক্ত শাসন করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। সকল সুবিধা নিজে ভোগ করেন। ভাল খাবারের ব্যবস্থা করেন না ইত্যাদি হাজারো অভিযোগ মুহতামিমের দিকে।

যে মাদরাসার মুহতামিমকে আপনি সব দোষ দিচ্ছেন সেখান থেকে বের হয়ে আরেকটা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন তখন দেখেন আপনার শিক্ষকরা আপনার বিরুদ্ধে এই দোষগুলো প্রচার করে কিনা!

অধিকাংশ মুহতামিম কি একসময় কোনো মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন না?! অবশ্যই ছিলেন। শিক্ষক থাকা অবস্থায় তার কাছেও এগুলো সমস্যা মনে হয়েছিল কিন্তু যখন নিজেই পরিচালক হলেন তখন বাস্তববাদী হলেন ফলে তার মাদরাসার শিক্ষকরাও তার সমালোচনা করেন।

যিনি মুহতামিম হন তার জীবনটা সবসময় টেনশন, পেরেশানিতে কাটে। সব সমস্যা তাকেই সমাধান করতে হয়। সব কিছুর ব্যবস্থা তাকেই করতে হয়। মাদরাসার কাজের কারণে তিনি তার পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। ব্যক্তিগত মুতালায়া করার সময় পান না।

বন্ধের সময় সবাই দায়মুক্ত হয়ে চলে গেলেও তিনি যেতে পারেন না। মাদরাসার কাজে থেকে যেতে হয়। আবার চলে গেলেও সর্বদা খোঁজ খবর রাখতে হয়। যে কোন প্রয়োজনে তাকেই চলে আসতে হয়। যত ঝামেলা, যত সমস্যা তাঁরই দূর করতে হয়।

এগুলো কেউ দেখে না। সবাই শুধু মুহতামিমের দোষগুলোই দেখে। মাদরাসার পরিচালনার কাজ যারা করেন তাদের পুরো জীবনটাই জাতির খেদমতে চলে যায়। নিজের জন্য তেমন একটা কিছু করা হয়ে উঠে না। সারা জীবন সব কিছু আঞ্জাম দিয়ে যান। বিনিময়ে সামান্য খ্যাতি লাভ করেন। একটু সম্মান পান।

সব কিছু নিজের মনমত করতে পারেন। এতটুকুই স্বাধীনতা! কিন্তু এর বিনিময়ে জীবনের মহামূল্যবান সময় মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করে দিতে হয়।

মুহতামিমরা কিন্তু কোন শিক্ষককের নামে ফেসবুকে শেকায়েত করেন না অথচ করতে চাইলে অনেক বিষয়েই করতে পারেন। সমস্যা, দোষ দুই দিকেই থাকে। কেউই ফেরেশতা নয়। ভুল থাকবেই। কিন্তু কিছু হলেই সব দোষ মুহতামিমের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজে নির্দোষ প্রচার করা অনুচিত।

এতে মাদরাসায় খেদমতের প্রতি নবীনরা অনুৎসাহিত হয়ে পড়বে। উত্তমপেশা শিক্ষকতায় অনাগ্রহী হবে। সর্বউত্তম মানুষ হওয়ার সুযোগ হেলায় নষ্ট করবে।

তাই যদি কোন শিক্ষককের মনে হয়, মুহতামিম সাহেব তার ওপর জুলুম করছেন তাহলে তার জন্য উচিত হল, ঐ মাদরাসা থেকে বের হয়ে নিজে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা করা।

তারপর আশা করি তিনি বুঝবেন 'কত ধানে কত চাল' এবং 'কুল্লু মুহতামিম ফিন্নার' না বলে 'কুল্লু মুহতামিম ফিল জান্নাহ' বলবেন।

মায়ের দু‘আ আমাকে কাবা শরীফের ইমাম বানিয়েছে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ