শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ওআইসি’র সম্মেলনে কেন যাননি সৌদি বাদশা, যুবরাজ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসি’র জরুরি শীর্ষ সম্মেলন। কিন্তু এতে যোগ দেন নি সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ। এমনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানও এ সম্মেলনে উপস্থিত হননি।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপন আলোচনা সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে জেরুসালেম ইস্যুতে ডাকা বিশেষ সম্মেলনে তারা নিজে উপস্থিত না হয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। এর পেছনে বড় রকমের রহস্য রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন আর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

ইস্তাম্বুলের এ জরুরি সম্মেলনে সৌদি আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও পাঠায়নি। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে দায় সেরেছে দেশটি। অথচ সৌদি আরবেই ওআইসি'র সদরদপ্তর। এছাড়া, মিশরসহ অন্য আরো কয়েকটি আরব দেশ তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ মূলধারার গণমাধ্যমে নানা সন্দেহে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের সাম্প্রতিক নানা যোগাযোগের পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। সেই কারণেই সম্ভবত সৌদি রাজা কিংবা যুবরাজ এ সম্মেলনে যান নি।

অনেকে বলেছেন, তোপের মুখে পড়ার আশংকায় সম্মেলনে অংশ নেন নি সৌদি রাজা কিংবা যুবরাজ। অনেকে বলেছেন, সৌদি আরবের শীর্ষ নেতৃত্ব এ সম্মেলনে অংশ না নিয়ে প্রমাণ করেছেন- তারা ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে নন বরং ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকা স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

১৯৬৯ সালে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলিরা আগুন দিলে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে মুসলিম দেশগুলোর অংশগ্রহণে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই ওআইসি গঠিত হয়। এটি এখন জাতিসংঘের পরেই সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা।

তবে ৪৮ বছরের ইতিহাসে এ সংস্থা খুব বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি বরং দিন দিন এর কার্যকারিতা হারিয়েছে। বেশিরভাগ সময় এ সংস্থা নিন্দা প্রকাশ ও বিবৃতি দেয়ার মাঝেই এর তৎপরতা সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তবে এবারের সম্মেলনে যে ভাষায় বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তা কিছুটা আশা জাগানোর মতো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

গত কালের জরুরি বৈঠক থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের নেতারা ট্রাম্পের ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন এবং জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করেছেন।

সেখানে আমেরিকার প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপেরও আবেদন উঠেছে। এমনকি এ বৈঠক থেকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্ততাকারী দেশ হিসেবে মানবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

জরুরি এ সম্মেলনে সৌদি ও মিশরের যোগ না দেয়া স্বভাবতই দেশগুলোর ব্যাপারে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত যা মুসলিম বিশ্বের কাছে কোনো সহনীয় খবর নয়।

ওআইসি সৈন্যবাহিনী গড়লে কী হবে ইসরাইলের?

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ