বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করলো ৫৭ মুসলিম দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ৫৭ জাতির ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)।

১৩ ডিসেম্বর বুধবার তুরস্কের ইস্তানবুলে সংস্থাটির জরুরি সম্মেলন থেকে তাদের এ ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমদ আল-ওসাইমিন।

এ সময় তিনি মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের এ ইস্যুতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।ড. ইউসুফ বিন আহমদ আল-ওসাইমিন বলেন, ওআইসি আমেরিকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছে এবং তাদের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের উত্তেজনার দিকে উসকে দেওয়া হয়েছে। এটা এ অঞ্চলে এবং বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করবে।

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর এক সপ্তাহের মাথায় ওআইসি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা এলো।

বাংলাদেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত ও কাতারসহ মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন।

মুসলিম দেশগুলোর বাইরে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সংগত আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বৈঠকে অংশ নেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।

সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, জেরুজালেম ইসুতে মুসলিম দেশগুলোর নিশ্চুপ থাকার সুযোগ নেই।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেন, মার্কিন সিদ্ধান্ত অকার্যকর, অবৈধ ও বেআইনি। এ উসকানিমূলক সিদ্ধান্ত থেকে তাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসরায়েল একটি দখলদার ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। আর মার্কিন সিদ্ধান্ত হচ্ছে তাদের সন্ত্রাসবাদের পুরস্কার।

ট্রাম্পের ওই ঘোষণার বিরুদ্ধে ৮ ডিসেম্বর থেকে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দেয় ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস।  বৃহস্পতিবার এ ইন্তিফাদার ষষ্ঠ দিন চলছে। এর অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অন্তত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ১৭০০ ছাড়িয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের ধরে নিয়ে খাঁচায় বন্দি করে রাখার মতো বর্বরোচিত ঘটনাও ঘটেছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ