শাহনূর শাহীন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে মানুষের শ্লোগান হবে ১২০টাকায় পেয়াজ খাবো না, নৌকায় ভোট দেবো না। গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পেয়াজের ঝাঝে গ্রামের মহিলারা অতিষ্ঠ তারা এখন শ্লোগান তুলেছে ১২০টাকায় পেয়াজ খাবো না, নৌকায় ভোট দেবো না।
মঙ্গলবার বিকেলে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্রাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির নীতিমালা গেজেট প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির যে শৃঙ্খলাবিধি সরকার তৈরি করেছে তা সম্পূর্ণ আত্মঘাতী, অর্থহীন এবং অসাংবিধানিক।’
তিনি বলেন, ‘এই শৃঙ্খলাবিধি সম্পূর্ণভাবে সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এর মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকগণ সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল।’
মওদুদ বলেন, এই শৃঙ্খলা বিধির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের মৃত্যু ঘটেছে। মাজদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ করার সম্পর্কে সুপ্রিমকোর্টের যে নির্দেশ ছিল তার পরিপন্থী। সুতরাং এখন বলা যাবে না যে, বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক একটি প্রতিষ্ঠান।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বিচার বিভাগের মতবিরোধ ছিল। কারণ তিনি এর বিরোধিতা করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে চেয়েছিলেন। সরকার তাকে বিতাড়িত করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছে।
শৃঙ্খলা বিধি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর একটি রাজনৈতিক আঘাত জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিধিমালা আইনজীবী সম্প্রদায়সহ দেশের কোনো শ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারকরা এবং নিম্ন আদালতের বিচারকরা এই শৃঙ্খলাবিধি প্রত্যাখ্যান করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরাজেয় বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহীমে সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, অপরাজেয বাংলাদেশের সভাপতি ও বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, এনডিপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুরুল হোসেন ঈসা প্রমুখ।
এসএস/