বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
খাদেম-ক্লিনার ও শিক্ষক নিয়োগ দেবে ‘গ্লোবাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট’ স্বাধীন দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠন থাকবে না: র‍্যাব মহাপরিচালক  মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮ ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ পুতিনের তেজগাঁও আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুল আমান মাদরাসায় ভর্তি শুরু আগামীকাল   ইরানের হামলার জন্য নেতানিয়াহুই দায়ী: এরদোগান ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৪, ট্রাকচালক আটক ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী ইরান-ই’সরায়েল যুদ্ধের পরিস্থিতির আলোকে প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গা নারীদের নির্বিচারে ধর্ষণ করত মিয়ানমার সেনারা: এপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা নারীদের নির্বিচারে ধর্ষণ করত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ধর্ষণের শিকার ২৯ রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকারের পর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।মিয়ানমারের সেনাদের নিপীড়নের শিকার এসব রোহিঙ্গা নারী বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। পৃথকভাবে তাদের সাক্ষাৎকার নেন এপির সাংবাদিক।

এসব নারী এপিকে তাদের নাম জানিয়েছেন। তবে নিজের অথবা স্বজনদের প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকে তারা এপিকে কেবল নামের আদ্যাক্ষর প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৩ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার এসব নারী রাখাইন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা।

নির্যাতিত প্রত্যেকের অভিজ্ঞতার ধরন প্রায় একই। ধর্ষকদের প্রত্যেকেই সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ছিল। এদের অনেকের পোশাকে তারকা ব্যাজ ছিল। আবার কারো পোশাকে তীরের ব্যাজ ছিল। এর মানে হচ্ছে এসব ধর্ষক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য।এর আগে জাতিসংঘ অভিযোগ জানিয়েছিল, রোহিঙ্গাদের নির্মূল করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ধর্ষণকে ‘সন্ত্রাসের অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।

বার্তা সংস্থা এপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। অবশ্য গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করেছিল রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।‘এফ’ আদ্যাক্ষরের এক নারী জানিয়েছেন, এক মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল। তার স্বামীর বাড়িতে হামলার আগের দিন তিনি জানতে পারেন সেনারা তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে এবং ভাইয়েরা নিখোঁজ। ওই রাতে সাত সেনা তার স্বামীর ঘরে হামলা চালায়। তারা ওই নারীর স্বামীকে বেঁধে ফেলে এবং মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়।

সেনারা যখন তাকে ধর্ষণ করছিল তার স্বামী মুখের বাঁধন আলগা করে চিৎকার করতে শুরু করলে তার বুকে গুলি করে এক সেনা। এ সময় আরেক সেনা তার স্বামীর জিহ্বা কেটে দেয়। সাত সেনা ধর্ষণের পর তাকে ঘরের বাইরে ফেলে রেখে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তী সময় ওই নারী এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। তিন মাস পর পাঁচ সেনা ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং প্রতিবেশীর সন্তান ও তার স্বামীকে হত্যা করে। এ সময় তারা ওই প্রতিবেশী ও তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ