বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ইউরোপের সমর্থন চেয়ে অপমানিত হলেন নেতানিয়াহু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন চেয়ে অপমানিত হলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সভায় তিনি ইউরোপের সমর্থন চাইলে তার মুখের উপর তা প্রত্যাখ্যান করে ইউরোপীয় নেতারা।

বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, আমেরিকার মতোই ইউরোপও জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে আমি আশা করি কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান বলেন, তাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।

মি. নেতানিয়াহু এখন ব্রাসেলস সফরে এসে ইইউ নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফর করলেন।

তিনি বলেন, তিনি আশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ইউরোপও জেরুসালেমকে তার দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এবং ইউরোপের দেশগুলো একে একে তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে নিয়ে যাবে।

এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, জেরুসালেম ৩ হাজার বছর ধরে ইহুদি জনগণের রাজধানী ছিল।

কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয় নি, এবং এ ক্ষেত্রে তারা 'আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই' অনুসরণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যার দুটিরই রাজধানী হবে জেরুসালেম।’

ইসরায়েল বরাবরই জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী দাবি করলেও তা কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ইসরায়েলে সব দূতাবাসগুলোই অবস্থিত তেল আবিবে।

জেরুসালেমে ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম - এই তিন ধর্মেরই পবিত্র স্থান আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পর ব্যাপক ফিলিস্তিনি ও বিভিন্ন দেশ ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয় - যাতে এ পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ