সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


দেওবন্দের রাজুপুরে তিন দিনব্যাপী তাবলিগি ইজতেমা সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ থেকে

দেওবন্দের অদূরে রাজুপুর  গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী ইজতেমা৷ গত বুধবার তাবলিগ জামাতের নিজামউদ্দিন মারকাজের মুরুব্বিদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শুক্রবার বাদ জুমা মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় উক্ত ইজতেমা৷

ইজতেমায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষের উস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত৷ প্রফুল্ল চিত্তে সময় ও শ্রম ব্যয় করে সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছিল সবাই৷ জানা যায়, উক্ত ইজতেমায় সমাগম হয়েছিল লক্ষাধিক মুসল্লির৷

শুক্রবার আখেরি বৈঠকে নিযামুদ্দীনের জিম্মাদার মাওলানা শামিম আহমাদ আম মানুষের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন৷ বয়ানে তিনি মাদরাসা ‍শিক্ষার গুরত্ব, উলামায়ে কেরাম এবং আকাবিরদের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় শ্রম ও সময় কুরবানি দেয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন দীর্ঘক্ষণ৷

তিনি বলেন, উলামায়ে কেরাম বিশষত উলামায়ে দেওবন্দ আমাদের আকাবির৷ তারা দ্বীন ও ইসলামের মজবুত খুঁটি৷ দ্বীনের সকল বিষয়ে আমরা তাদের দিকেই রুজু হব৷ সকল মাসআলা মাসায়েল কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে আমরা তাদের থেকেই জানতে সচেষ্ট হব৷

তিনি আরো বলেন, আজ আমরা উলামাদের বরকতেই এখানে একত্রিত হতে পেরেছি৷ তাদের বরকতেই আমরা দ্বীনের সহিহ বুঝ পেয়েছি৷ তাদের গড়া মাদরাসার উসিলায়ই আমরা কুরআন হাদিস সহিহভাবে পড়তে পেরেছি৷ যদি আজ উলামায়ে কেরাম না থাকতেন তবে আমরা দ্বীনের ব্যাপারে  মুর্খই থেকে যেতাম।

তিন দিনের ইজতেমায় আগমণ করেছিলেন স্থানীয় মুসল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা৷ আগমণ করেছেন বিদেশি মেহমানগণও৷ বিশেষত নিজামুদ্দীন ও মেওয়াতের বাসিন্দাদের উপস্থিতি ছিল সর্বাধিক।

ইজতেমায় আরো বয়ান করেছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর প্রতিনিধি মাওলানা জামশেদ আহমাদ, মেওয়াতের তাবলিগ জামাতের প্রধান মুরব্বি মাওলানা হাশমত আলী মেওয়াতি, বিজনুর এলাকার তাবলিগ জামাতের প্রধান মুরব্বি মাওলানা শরিফ আহমাদ বিজনুরি, এবং দেওবন্দ এলাকার তাবলিগ জামাতের প্রধান মুরব্বি মাওলানা জামিল আহমাদ কাসেমি প্রমুখ৷

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দারুল উলুম দেওবন্দের কোন আলেম এ ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রশাসনিক বিভাগের প্রধান মাওলানা মুনিরুদ্দীন উসমানি নকশাবন্দী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ইজতেমা উপলক্ষে এন্তেজামিয়া কমিটি বা নিজামুদ্দিনের কেউ দেওবন্দের আলেমদের দাওয়াত করেন নি৷ আর দেওবন্দের কেউ এতে অংশ গ্রহণও করেন নি৷ তারা ইচ্ছে করলেই দেওবন্দের মুহতামিম বা নায়েবে মুহতামিম বড়দের যে কাউকে ইজতেমায় নিতে পারতেন৷

কী কারণে তারা দেওবন্দের কাউকে দাওয়াত দেননি বা মেহমান রাখেন নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন আগ থেকেই দারুল উলুমের চার দেয়ালের মাঝে বিশেষ কারণে তাবলিগের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা এখনো বহাল আছে৷ হতে পারে একারণেই তারা দেওবন্দের কাউকে ইজতেমায় দাওয়াত দেন নি৷

তাবলিগের মেহনতে নায়িকা ময়ূরী থেকে খাদিজা ইসলাম

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ