আতাউর রহমান খসরু
বার্তা সম্পাদক
প্রাচীন ইসলামি রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। ভাঙ্গনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিলো বছর খানিক আগ থেকে। কিন্তু ইসলামি রাজনীতি ও ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রত্যাশা ছিলো শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হবে। নতুন করে কোনো হুমকির সম্মুখিন হবে না দলটি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিলো এবং আবারও ভাঙ্গনের মুখে পড়লো উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বাধীন এ দলটি।
এর পেছনে দলের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও নির্বাহী সভাপতি (সহসভাপতি) মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের বিভক্তিকেই দায়ী করছে দলীয় সূত্রগুলো।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ করে মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের নির্বাহী সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- এই মর্মে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে মজলিসে আমেলার পাল্টা বৈঠক ডেকে সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজের অভিযোগ করে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফিকে জমিয়তের সকল পদ হতে অব্যহতি দিয়ে বিবৃতি পাঠান মুফতি ওয়াক্কাসের অনুসারীগণ।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এর কারণ হিসেবে বহিরাগতদের পদায়ন, আধিপত্য বিস্তার ও পরস্পরকে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে এর বাইরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের মনোয়ন প্রাপ্তি ও সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মতো অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
দলের আজকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো কেনো? কেনো ভাঙ্গন রোধ করা গেলো না? এখন জমিয়তের ভবিষ্যত কী এমন প্রশ্ন নিয়ে প্রতিবেদক কথা বলেন জমিয়তের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার সঙ্গে।
তারা সবাই দলীয় ঐক্যের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও কিভাবে তা সম্ভব হবে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেন নি কেউ।
তাদের কথায় হতাশা ও অভিযোগের দিকগুলোই উঠে এসেছে বার বার।
প্রথমেই কথা বলেছিলাম জমিয়তের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি মনে করেন, দলের অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যু থেকেই এ বিভক্তির সৃষ্টি। এর পেছনে বহিরাগত শক্তি বা সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
তবে এবারও তিনি কেন্দ্রীয় আমেলা বৈঠকের নিমন্ত্রণ পান নি বলে জানান।
মাওলানা শাহীনূর পাশার কাছে প্রথমেই জানতে চেয়েছিলাম, এটা কি বিভক্তি নাকি বিরোধ? তিনি বলেন, ‘বাহ্যত এটা বিভক্তিই। কিন্তু আমি মনে করি, এ বিভক্তিও রোধ করা সম্ভব।’
আপনি বলেছিলেন, আপনার শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকতে আপনি দল ভাঙ্গতে দিবেন না। আপনি চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তা রোধ করা গেলো না কেনো?
‘আমার চেষ্টা আমি শতভাগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ও মান-অভিমানের কারণে তা রোধ করা যায় নি। আমার মনে হয়, দলের সিনিয়র নেতাদের পূর্ব থেকে বিষয়টিতে আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিলো। এখন তাদের ভেতর যে তৎপরতা তৈরি হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী। তবে তা আরও ছয় মাস পূর্বে শুরু হলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’ বলেন শাহীনূর পাশা।
অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা তার পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের শুরা সদস্যসহ অন্যান্য মুরব্বিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আমি সকালে একটি বৈঠক করেছি এবং এখনো (রোববার ১১.৩০ মি.) একটি বৈঠকে আছি। উভয়পক্ষের মুরব্বিদের একত্রে বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এতোদিনের প্রচেষ্টা যেখানে ব্যর্থ হলো, সেখানে নতুন প্রচেষ্টা কতোটা আলোর মুখ দেখবে? তাছাড়া পূর্বের সমস্যার সমাধান না করে একত্রে বসে সমঝোতা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগে ভাঙ্গন ও বিরোধ তৃণমূলের অগোচরে ছিলো। তাদের চাপ ছিলো না। চেষ্টা আমার একার বা কয়েকজনের ছিলো। এখন তৃণমূলের চাপে আমার সমঝোতা উদ্যোগ সফল হবে। ইনশাআল্লাহ!
মুরব্বিরা একত্রে বসলে অতীতের কারণ বিশ্লেষণ করেই ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে মনে করেন জমিয়তের সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা।
তবে দলে ঐক্যের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন না মুফতী ওয়াক্কাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা ওলিউল্লাহ আরমান। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এখন আর আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি প্রতিপক্ষের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, মুফতী সাহেব দীর্ঘদিন অবিচারের শিকার হয়ে আসলেও তিনি ধৈর্যের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত একাধিকবার সভাপতি সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, দলের অগঠনতান্ত্রিক আচরণের ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় নি। বরং তার উদ্যোগের কারণে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে।
ওয়লি উল্লাহ আরমান আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, মুফতি সাহেবকে কর্তৃত্বহীন ও নিষ্ক্রীয় করার জন্য কতো কিছু হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো পদক্ষেপ নেন নি। সর্বশেষ যখন তারা (প্রতিপক্ষ) তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন। মুফতি সাহেব কখনো বিরোধ চান নি। কিন্তু তারাই দলকে বিভক্তি দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আপনাদের অংশে কী নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। দলের ঐক্য না পুনর্গঠন? সরাসরি উত্তর না দিয়ে এ নেতা বলেন, ‘দেখেন! সংসার ভাঙ্গতে কার ভালো লাগে? মুফতি সাহেব ২৫ বছরের মহাসচিব। তার সময়ে তো জমিয়তে অস্থিরতা ছিলো না। আমাদের কৈশোর ও যৌবনের বড় একটা অংশ দলের জন্য ব্যয় করেছি। আমাদের অন্তর ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমরা আজও দলীয় ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছি।’
তার কাছে সর্বশেষ প্রশ্ন ছিলো, এখন জমিয়তের ভবিষ্যত কী? ‘এ ক্ষত হয়তো একদিন শুকাবে। কিন্তু অপরিমেয় ক্ষতির পর। বিভক্তি অপরিহার্য প্রায়, ঐক্যের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। কিন্তু তা অসম্ভভব নয়। দলের শীর্ষ মুরব্বিরা আন্তরিক হলে দলকে এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।ইনশাআল্লাহ!’
একই প্রশ্ন উপস্থাপন করেছিলাম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর পক্ষে থাকা জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর কাছে। কেনো ভাঙ্গনের মুখে আজ জমিয়ত? তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সবাই শৃংখলা প্রিয় মানুষ হতাম তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আমরা মুখে শৃংখলার কথা বললেও কাজে তা করি না।’
বিষয়টি স্পষ্ট করার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, ‘সংগঠনের মধ্যে প্যারালাল সংগঠন করা কি বিশৃংখলা নয়?’
কিন্তু মুফতি ওয়াক্কাসও তো অগঠনতান্ত্রিকভাবে নিষ্ক্রীয় করা এবং কোণঠাসা করার অভিযোগ এনেছেন। সেগুলো তো বিশৃংখলার মধ্যে পড়ে না? উত্তরে মাওলানা আফেন্দী বলেন, ‘তার প্রতি কোনো অবিচার হয়ে থাকলে তিনি তা বলবেন নির্দিষ্ট ফোরামে। কর্মীদের কাছে কেনো?’
মুফতি ওয়াক্কাসের দাবি তিনি বলতে চেয়েছেন। কিন্তু মাওলানা আফেন্দী তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তিনি দলীয় ফোরামে সমস্যাগুলো উত্থাপন করেন নি। আর যদি করেও থাকেন সেখানে সমাধান হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। পৃথিবীর সব জায়গায় মেজরিটির কথা চলে। এখানেও তাই চলবে এবং তাই হয়েছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সব করেছি।’
সংখ্যাগরিষ্ঠতার বাইরে গিয়ে একজন প্রবীণ নেতা কি যথাযথ মর্যাদা দাবি করতে পারে না? মুফতি ওয়াক্কাস তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আপনারা তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। কখনো তাকে নির্বাহী সভাপতি, কখনো সহসভাপতি আবার কখনো মাদরাসার মুহতামিম হিসেবে তার নামে চিঠি ইস্যু করেছেন। এতে তিনি মনোক্ষুণ্ন হতে পারেন না?
উত্তরে মাওলানা আফেন্দী বলেন, ‘চিঠি আমি ইস্যু করি না। যে করে এটা তার ফল্ট। চিঠিতে নাম, পদবী ঠিক মতো না লেখা এবং মর্যাদা প্রদর্শন না করা মৌলিক কোনো সমস্যা নয়। আমাদের আকাবিরদের শিক্ষা এমন নয় যে, আমার মর্যাদাহানি হলো বলে আমি দলের ক্ষতি করলাম।’
দলের অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে ঐক্যের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন কিনা জানতে চাইলে এ জমিয়ত নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আরও সিনিয়র নেতারা এ বিষয়ে কথা বলবেন। আমি শুধু বলবো, যে বা যারা এ কাজের জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ইহকালে না করলেও পরকালে করতে হবে। আমি আল্লাহর কাছে দলের জন্য দোয়া করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী ও মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবসহ একদল নবীন ও প্রবীণ ইসলামি রাজনৈতিক নেতা জমিয়তে যোগদান করেন এবং তাদের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়। সে সময় জেলে ছিলেন তৎকালীন মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তার অনুপস্থিতিতে এ পদায়নে ক্ষুব্ধ হন তিনি।
মুফতী ওয়াক্কাস জেল থেকে বের হয়ে প্রস্তাব দেন পরবর্তী কাউন্সিলের পূর্ব পর্যন্ত তাদের সাংগঠনিক পদ প্রদান না করে অনারারি (সম্মানসূচক) পদ দেয়া হোক। কিন্তু তাতে রাজি হননি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। এভাবেই জমিয়তে মুফতী ওয়াক্কাস ও আল্লামা হোসাইন কাসেমী দ্বন্দ্বের সূচনা হয়।
তাতে ইন্ধন যোগায় উভয় পক্ষের কিছু উৎসাহী নেতা। সুযোগ সন্ধানী এসব নেতারা ক্রমন্বয়ে দলের শীর্ষ দুই নেতাকে মুখোমুখি দাঁড় করায়। ফলে তাদের মধ্যেও বাড়তে থাকে তিক্ততা। শেষ পর্যন্ত আজ বিভক্তির মুখে পড়লো প্রাচীন এই দলটি।
এ তিক্ততার মধ্যেই ৭ নভেম্বর ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। কাউন্সিল সামনে রেখে উভয় পক্ষ নিজ নিজ বেল্টের লোকদের পদায়নে তৎপর হয়ে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর অনুসারীগণ কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়। কাঙ্ক্ষিত হারে পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয় মুফতী ওয়াক্কাস অনুসারী নেতারা।
তারা নবাগতদের পদায়ন এবং দলের পুরাতন নেতা-কর্মীদের (মুফতী ওয়াক্কাস অনুসারী) বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ আনেন। দাবি করেন, পূর্বের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ২২ জন (মুফতী ওয়াক্কাস অনুসারী) কে বাদ দিয়ে ২৮ জন নবাগতকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এ কাউন্সিলে মুফতী ওয়াক্কাসকে মহাসচিব পদ থেকে নির্বাহী সভাপতি করা হয় এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করা হয়।
সর্বশেষ আরজাবাদ মাদরাসায় আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মুফতি ওয়াক্কাস গ্রুপের নেতাদের দাওয়াত না দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
সে অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ করেন। তিনি আওয়ার ইসলামে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের সিনিয়র একজন নেতার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এ সবের পরেও দেশের ঐতিহ্যবাহী এ দলটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাক এই ছিলো সবার প্রত্যাশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজন সিনিয়র নেতার বিরোধ ভাঙ্গনে রূপ নিলো।
দলের তুলনামূলক নিরপেক্ষ নেতারা দলের ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গেছে। তাদের প্রচেষ্ঠা সফল হোক এই কামনাই রইলো।
ইসলামি দলগুলোতে এ কেমন ভাঙা গড়ার খেলা; কী বলছেন বিশ্লেষকরা?
মজলিস থেকে জমিয়ত : হৃদয় ভাঙার দায় কার?
ছোট খাট মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: আল্লামা কাসেমী