বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


কম্বোডিয়ার সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বাণিজ্য-বিনিয়োগ, পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে এই স্মারক ও চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

সোমবার সকালে নমপেনে কম্বোডিয়ার প্রথানমন্ত্রী হুন সেনের কার্যালয় পিস প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতে সাক্ষর করেন।

পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিলের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়ার মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নেবে এই সমঝোতা স্মারক।

বাকি সমঝোতা স্মারকগুলো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা, মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার খাতে সহযোগিতা, শ্রম ও কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিল ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে।

আর চুক্তিটি হয়েছে দুই দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি এবং কম্বোডিয়া চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এবং হুন সেন কম্বোডিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। চুক্তি সাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতার আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্তে এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। চুক্তি সাক্ষরের পর শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠক শেষে হুন সেন ও শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে ১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতায় সই করেন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এরপর যৌথ বিবৃতিতে বক্তব্য রাখেন দুই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এখন প্রয়োজন এই সম্পর্ককে বহুপাক্ষিকে রূপান্তর করা। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও কথা বলেন শেখ হাসিনা। এই সংকট মোকাবিলায় কম্বোডিয়াকে পাশে চান তিনি।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম এবং বিআইডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে স্মারক ও চুক্তিতে সাক্ষর করেন।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ কম্বোডিয়ার পক্ষে স্মারক ও চুক্তিতে সাক্ষর করেন।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে তার সঙ্গে রয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ