আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিনিধি
গতকাল মঙ্গলববার জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসা পরিদর্শনে আসে ব্রিটিশ হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার বেলা ১০টায় মাদরাসা পরিদর্শনে এসে প্রতিনিধি দলটি কয়েকঘণ্টা অবস্থান করে।
এ সময় তারা মাদরাসা, বিভিন্ন বিভাগ ও শ্রেণি কক্ষ ঘুরে দেখেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নানা বিষয়ে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ব্রিটিশ হাই কমিশনের অধীনে ইউকেএইড ukaid, from the British people এর তিন সদস্যের এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (Department for International Development) এর অ্যাডভাইজার টবি রয়ক্রাফ্ট, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোশাররফ তানসিম ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুহাম্মদ মামুনুর রহিম৷
কওমি মাদরাসার শিক্ষা সিলেবাস, শিক্ষা পদ্ধতি ও মতাদর্শ সম্পর্কে জানতেই তারা মাদরাসা পরিদর্শনে এসেছিলেন বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া।
তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। পারস্পারিক আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট।
মাওলানা যাকারিয়া বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল আমাদের বলেন, আমরা কওমি মাদরাসা সম্পর্কে জানি না এবং তার সিলেবাস ও শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই। এ বিষয়গুলো জানতেই এখানে এসেছি।’
‘আমরা তাদের বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। কওমি মাদরাসার শিক্ষা দান পদ্ধতি ও সিলেবাস সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। তারা বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে, মাদরাসার পরিবেশ; এমনকি রান্নাঘরের পরিবেশ ও খাবারের মান দেখেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
আরজাবাদ মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা যাকারিয়া বলেন, কিছু উত্তর তারা নিজ থেকেই পেয়ে গেছে। যেমন ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলটি যখন মেশকাত শ্রেণির কক্ষে যান তখন সেখানে শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন- ‘কোনো ব্যক্তি মুসলিম হতে পারবে না যতোক্ষণ না অপর মুসলিম তার মুখ ও হাত থেকে নিরাপদ থাকবে’।
তারা হাদিসটি শুনে মুগ্ধতা প্রকাশ করে।
আমি তখন বলি, শ্রেণি কক্ষে আমরা শিক্ষার্থীদের শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রদান করি। কওমি মাদরাসার সন্ত্রাসবাদকে নিরুৎসাহিত করে। বাস্তব জীবনেও কওমি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা খুব কম।
আপনি বাংলাদেশের অপরাধের উপর হওয়া পরিসংখ্যান দেখলে দেখবেন কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অপরাধের পরিমাণ ০.৫ ভাগও না। আরও অনেক কম।
তাদের পরিদর্শন আকস্মিক ছিলো না; বরং পূর্ব থেকে অনুমতি নিয়েই তারা এসেছিলো বলে জানিয়েছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ হাই কমিশনের অধীন ukaid, from the British people সংস্থাটি বাংলাদেশের বিভিন্নি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছেন। তারই অংশ হিসেবে তারা আরজাবাদ মাদরাসা পরিদর্শন করলো।
এর আগে তিন জার্মান সাংবাদিক হাটহাজারী মারদাসা পরিদর্শন করেন।
হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করলেন তিন জার্মান সাংবাদিক