বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


নওগাঁয় প্রতিমা ভাংচুর, আ.লীগনেতাসহ আটক ৬

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : নওগাঁর আত্রাইয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সেচ প্রল্পের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে কালি মন্দিরের পাঁচটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বড়কালিকাপুর কালি মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মেরিয়া গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৬), মৃত নাজমুল হুদার ছেলে পলাশ খান (২৫), শহিদুল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৫), মৃত আফজাল প্রাং এর ছেলে কামাল প্রাং (৩২), ও পার্শ্ববর্তী রাণীনগর থানার বড়কালিকাপুর গ্রামের মৃত আলেমদ্দিনের ছেলে স্বপন ইসলাম (৩৭), আবু জাহেদের ছেলে রতন খন্দকার (৩৩)।

আত্রাই থানা ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের এক মাঠে একটি সেঁচ প্রকল্পের বড়কালিকাপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্ব মিমাংসার জন্যে গত শুক্রবার রাতে মন্দিরের পাশেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটায় বিষয়টি সেখানে সমাধান না হওয়ায় বৈঠক পণ্ড হয়ে যায় রাত ১২টার দিকে।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে এলাকাবাসী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা দেখে থানায় খবর দেন। আত্রাই থানা পুলিশ খবর পেয়েই ওই মন্দির পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করে। তারা মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

এ সময় সেখানে শহিদুল ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসী স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রামবাসীদের দাবির মুখে ওই ছয় জনকে আটক করে।

মন্দির কমিটির সভাপতি নিরাঞ্জন কুমার জানান, আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী এই কালি মন্দির। এখানে সকাল সন্ধ্যা পূজা দেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে পূজা শেষ হয়। এরপর রাতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সবাই বাড়িতে চলে যায়। এরপর রাতের অন্ধকারে কে বা কারা মন্দিরে ঢুকের কালী, শিবসহ পাঁচটি প্রতিমার মাথা ভাংচুর করেছে।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও মন্দির কমিটির সাথে আলোচনা করার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর