আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
লেবানন কেন্দ্র মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। তাতে যুক্ত হয়েছে তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা।
সম্প্রতি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি জীবন নাশের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন। তিনি দোষ চাপিয়েছেন ইরান ও তার লেবাননীয় মিত্র হিজবুল্লাহর প্রতি। সৌদি আরব এ ঘটনাকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
অন্যদিকে ইরান সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও আঞ্চলিক রাজনীতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ পেশ করেছেন নিরাপত্তা পরিষদে। সাথে সাথে তারা শিয়া হিজবুল্লাহ গ্রুপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ সাদ হারিরি সৌদি আরবে গৃহবন্দিএবং তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। তবে সৌদি সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাসান নাসরুল্লাহ আরও অভিযোগ করেছেন, সৌদি আরব হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করতে ইসরাইলকে যুদ্ধে লেলিয়ে দিতে চাইছে। এজন্য তারা পর্যাপ্ত অর্থের জোগান দিতেও প্রস্তুত।
‘বিগত হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধের নেপথ্য কারিগরও সৌদি আরব’ বলে মন্তব্য করেন এ শিয়া নেতা।
আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে সাথে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোও ইরান-সৌদি উত্তেজনাকে উস্কে দিচ্ছে। আমেরিকা একদিকে সমর্থন করছে দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব কে। অন্যদিকে রাশিয়া সমর্থন করছে তার ব্যবসায়িক অংশিদার ইরানকে। যদিও আমেরিকার মতো রাশিয়ার সমর্থন স্পষ্ট ও প্রকাশ্য নয়।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ রক্ষা ও তাদের নিকট উচ্চ মূল্যে অস্ত্র বিক্রির জন্য তার এ উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর ও আরব নিউজ