আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এবার কঠিন শর্তের কথা জানাল মিয়ানমার। যা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের জন্য পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ইয়াঙ্গুনে ‘ভারত-মিয়ানমার সম্পর্কের আগামী দিন’ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব শর্তের কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ইউ কিইয়াও জেয়া।
তিনি বলেন, স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু চি গত ১২ অক্টোবর এ নিয়ে দেশের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের কাজও শুরু হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ হবে চারটি শর্ত সাপেক্ষে। যারা সেই শর্ত পূরণ করতে পারবেন, শুধু তাদেরই ফিরিয়ে নেয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের শর্তগুলো হলো, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দীর্ঘদিন বসবাসের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে, যারা স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরতে চাইবেন, পরিবারের কেউ মিয়ানমারে রয়েছেন তেমন প্রমাণ দেখাতে হবে এবং বাংলাদেশে কোনো বাচ্চা জন্মালে তার বাবা-মা উভয়েই মিয়ানমারের স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণ করতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান ইউ কিইয়াও।
প্রশ্ন উঠেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে যারা দেশ ছেড়েছেন, তাদের কাছে কী করে এই সব তথ্য-প্রমাণ থাকবে?
মিয়ারমারের রাখাইনে জাতিগত নিধনের ফলে ৮ লাখ বাসিন্দা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তারাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জায়গা জমি ভাগ বাটোয়ারা চলছে। এ প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের এমন শর্ত তাদের না ফেরানোরই ইঙ্গিত মনে করা হচ্ছে।