রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
১. মৌলানা আজাদ নামে সমধিক পরিচিত মৌলানা আবদুল কালাম মুহিউদ্দীন আহমেদ ১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।
২. তার জন্মবার্ষিকী ভারতে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। আজাদ একাধারে ছিলেন পণ্ডিত, কবি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়া তিনি আরবি, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
৩. ১৯১২ সালে আজাদ আল-হিলাল নামে একটি উর্দু সাময়িকী প্রকাশ করেন।“উর্দু সাংবাদিকতার ইতিহাসে ‘আল-হিলাল’ প্রকাশ এক যুগান্তকারী ঘটনা। ১৯১৪ সালে আল হিলাল নিষিদ্ধ হয়। অকুতোভয় আজাদ আল বালাহ নামে আরেকটি সাপ্তাহিক প্রকাশ করে তার লেখনী অব্যাহত রাখেন। এ পত্রিকাটিও দুই বছর পর নিষিদ্ধ হয়।
৪. কলকাতা থেকে তাকে ১৯১৬ সালে রাঁচিতে নির্বাসিত করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তার ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
৫. ১৯২৩ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বৈঠকে তার সহকর্মীবৃন্দ ৩৫ বছর বয়সী আজাদকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত করেন। ১৯৪০ সালে রামগড়ে পুনরায় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে দলটি পরিচালনা করেন।
৬. নামের মতোই মৌলানা আজাদ ছিলেন তুখোড় বক্তা। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, যখনই আজাদ আনন্দ ভবনে থাকতেন, নাস্তার টেবিল মানুষে ভরপুর থাকত; এমনকি অনেকে তার কথা শুনতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। দীর্ঘ বাক্যকে এক বা দুই বাক্যে ভেঙে বলার এক জাদুকরী ক্ষমতা ছিল আজাদের, যা শ্রোতাদের ওপর অসামান্য প্রভাব বিস্তার করত।
৭. স্বাধীন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন।
৮. মৌলানা আজাদ খিলাফৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন।
৯. ১৯৫৮ সালের২২ ফেব্রুয়ারী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ মৃত্যু বরণ করেন।
১০. ১৯৯২ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্নে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।
সূত্র - ইন্টারনেট