নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র এখন বিশ্বে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাল লাভ করেছে। বাংলাদেশেও ঘটছে তার প্রসার। সম্প্রতি দেশের ৮টি হাসপাতালে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ফলে থাইরয়েড, কিডনি, লিভার ও বোন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রসার ঘটবে দেশে।
দেশে পরমাণু চিকিৎসা সেবার প্রধান অভিভাবক বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
বর্তমানে ১৪টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
তবে রোগীর সংখ্যার তুলনায় নিনমাস ও ইনমাসগুলোর সংখ্যা খুবই কম। একটি রোগ নির্ণয়ের জন্য অনেক চিকিৎসাপ্রার্থীকে ১৫ দিন থেকে দুই মাসও অপেক্ষা করতে হয়।
এই অবস্থায় নতুন করে আটটি হাসপাতালে ইনমাস প্রতিষ্ঠায় ৫৮২ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদিত হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে এবং ওই সময় থেকেই এগুলো থেকে চিকিৎসা পাবেন জনগণ। এগুলো বাস্তবায়িত হলে পরমাণু চিকিৎসা প্রদানকারী হাসপাতালের সংখ্যা দাড়াবে ২৩টিতে।
প্রস্তাবিত আটটি ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) স্থাপিত হবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শের-এ-বাংলা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ এবং পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।