শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

যেসব খাবার এবং ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সিদরাতুল মুনতাহা
ফিচার রাইটার

সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমাদের সমাজে রোগটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। ডায়াবেটিস নির্মূল সম্ভব নয় তবে একটু সচেতন থাকলেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সাধারণ কিছু খাবারের মাধ্যমেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫ খাবার 

খেজুর: খেজুরে একটি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার। খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। গবেষণায় জানা গেছে, আঙুর, কমলা, ব্রকলি এবং মরিচের তুলনায় খেজুরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। শুকনো খেজুর সংরক্ষণ করে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।

দুধ: ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর উৎকৃষ্ট একটি উৎস হলো দুধ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এছাড়া দুধ দিয়ে ঘরে তৈরি পনির ও দই ডায়াবেটিস প্রশমিত করে। দুধ সকালের নাস্তায় আর পনির স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।

তিল: আরেকটি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হলা তিল। তিল রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্ট্রেরল কমিয়ে থাকে। এছাড়া হৃদযন্ত্রের জটিলতা, হার্টঅ্যাটাকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করে এ খাবার। সকালের নাস্তায় যবের ছাতু কিংবা পনিরের সাথে তিল খেতে পারেন।

তুলসি: ঔষধি ক্ষমতাসম্পন্ন এ গাছ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি তুলসি কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখাসহ শরীরের অন্যান্য কাযক্রম ঠিক রাখে। এক গবেষণায় জানা গেছে, খালি পেটে তুলসির রস খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে। তাতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে। এছাড়া তুলসি চা’ও বেশ উপকারী।

বরবটি: বরবটিও উচ্চ আঁশ সম্পন্ন খাবার। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় এছাড়া কোলেস্ট্রেরলেও পরিমাণ কম রাখে। বরবটিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। বরবটি সালাদ কিংবা এর স্যুপ বানিয়ে খাওয়া যায়।

এছাড়াও, খাদ্য তালিকায় তারা রাখতে পারেন কিছু ফল। যদিও এমন কিছু ফল আছে যারা রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রসালো কিছু ফল আছে যারা ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি। যেসব ফলের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম থাকে সে সব ফল ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫ ফল

আপেল: রসালো ও সুস্বাদু ফল আপেলে ভিটামিন সি,অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও দ্রবণীয় ফাইবার আছে। এতে পেক্টিন থাকে যা শরীরের টক্সিন বের হয়ে যেতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিকসের ইনসুলিন চাহিদা ৩৫% কমায়। তাই দৈনিক ১টা আপেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কমলা : পুষ্টিকর এই ফলটিতে পানি থাকে ৮৭% যার গ্লিসামিক ইন্ডেক্স খুবই কম। এছাড়াও এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, চিনি কম থাকে এবং ভিটামিন সি ও থায়ামিন থাকে যা রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিন ১টা কমলা খেতে পারেন।

জাম্বুরা: ডায়াবেটিস এ আক্রান্তদের জন্য জাম্বুরা একটি নিরাপদ ফল। ভিটামিন সি এ সমৃদ্ধ এই ফলে উচ্চ মাত্রার দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যার গ্লিসামিক ইনডেক্স ২৫ এবং পানির পরিমাণ থাকে ৯১%। এছাড়াও জাম্বুরাতে নারিঞ্জেনিন নামক ফ্ল্যাভনয়েড থাকে যা শরীরের সংবেদনশীলতাকে উদ্দীপিত করে ইন্সুলিন বৃদ্ধি করে।

পেয়ারা: পেয়ারায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ, সি এবং তন্তু রয়েছে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে গ্লাইসেমিক ইনড্রেক্স কমিয়ে আনার জন্যও দায়ী এই ফলটি।

আনার: ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আনারের লাল লাল দানাগুলো। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়াও,  করলা, চিরতা , নিমপাতা,  হেলেঞ্চা শাক,  শিউলী, আমলকী,  আদা , ঘৃতকুমারী  এসব খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

(সূত্র-ইন্টারনেট-আরএম)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ