বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


এবার তাজমহল চত্বরে জুমা নামাজ বন্ধের দাবি আরএসএস'র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : এবার  ভারতে বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক তাজমহল চত্বরে  শুক্রবারের জুমার নামাজ বন্ধ করার দাবি উঠিয়েছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। জুমা নামাজের জন্য প্রত্যেক শুক্রবার তাজমহল বন্ধ থাকে।

রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শিক পুরোধা সংগঠন আরএসএসের ইতিহাস শাখা ‘অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতি’ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাজমহলে নামাজ পড়া বন্ধ না হলে ওখানে শিবের প্রার্থনাও করতে দিতে হবে।’

গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির জাতীয় সম্পাদক বালমুকুন্দ পাণ্ডের দাবি, নামাজ পড়া যদি বন্ধ করা না হলে সেখানে হিন্দুদের শিব চালিশা পাঠ করতে দিতে হবে। তিনি বলেন, তাজমহল জাতীয় সম্পত্তি। সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হবে কেন?’

তার দাবি, এটি প্রমাণিত যে তাজমহল একটি শিব মন্দির ছিল যা এক হিন্দু রাজা তৈরি করেছিলেন।তাজমহল ভালবাসার নিদর্শন নয়। মমতাজের মৃত্যুর চার মাসের মধ্যে শাহজাহান দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। তাজমহল সম্পর্কে সমস্ত প্রমাণাদি জোগাড়  করে সকলের সামনে তা তুলে ধরা হবে বলেও বালমুকুন্দ পাণ্ডে বলেন।

প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পর্যটকদের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকে তাজমহল। সেই তথ্য উল্লেখ করে অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির শীর্ষ নেতা ডক্টর বালমুকুন্দ পান্ডে বলেন, ‘তাজমহল ভারতের জাতীয় ঐতিহ্য। কেন সেটা মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হবে?

ওখানে নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্যাহার করা হোক। আর নামাজ পড়া যদি বন্ধ করা না যায়, তাহলে হিন্দুদেরও তাজমহলে শিবের প্রার্থনা করতে দিতে হবে।’

এর আগে হিন্দু যুব বাহিনী নামে একটি ডানপন্থী সংগঠন তাজমহলে শিবের প্রার্থনা করে। ওই সংগঠনটি দাবি করে, তাজমহল আসলে শিবমন্দির। ওই শিবমন্দিরকে কবরখানার চেহারা দেন শাহজাহান।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাজমহল সফর করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ। তখন বিজেপিকর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেন।

এসব ঘটনার মধ্যে গত সোমবার তাজমহল চত্বরে রাষ্ট্রীয় স্বাভিমান দল ও হিন্দু যুব বাহিনী নামে দুটি সংগঠনের সদস্যরা 'শিব চালিশা' পাঠ করলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) সদস্যরা তাদের আটক করলেও ক্ষমা চাওয়ার পরে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়া হয়।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ