বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


বেফাকের বিবৃতি: কওমী শিক্ষা সঠিক পথেই পরিচালিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক নিয়ে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আওয়ার ইসলামকে পাঠানো আজ এক বিবৃতিতে বেফাক জানায়, একটি দৈনিকে ‘পথ হারাচ্ছে কওমী শিক্ষা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি সুপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর সকাল ৯ টায় সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী’র সভাপতিত্বে বেফাক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মজলিসে আমেলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিগত ২৩ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলমে ‘পথা হারাচ্ছে কওমী শিক্ষা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের নজরে পড়েছে।

৫০ জন আলেমের ছদ্ধাবরনে প্রদত্ত বিবৃতিটি পড়ে স্পষ্টতই বুঝা যায়, তা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাজানো কল্পকাহিনী। যারা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কওমী শিক্ষা বোর্ড তথা বেফাকের সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইতোপূর্বে একাধিকবার এই ধরনের ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়েছে।

চিহ্নিত এই গোষ্ঠীর টার্গেট হল, কওমী শিক্ষার সনদ, বেফাকুল মাদারিস ও তার কর্মকর্তাবৃন্দ।এমনকি বেফাকের সভাপতি, বাংলাদেশের উয়ালামায়ে কেরামের রাহবার আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে পর্যন্ত আঘাত করতে, তাঁর ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে, তাঁর সাথে বে আদবীমূলক আচরণ করতে, সর্বোপরি তাঁর মৃত্যু কামনা করতে তারা কুণ্ঠিত হয়নি।

বিবৃতিটিতে মূল বক্তব্য কওমী সনদ ও কওমী শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক হলেও অত্যন্ত চাতুর্যের সাথে তারা বেফাকের প্রসঙ্গ নিয়েই কথা বলেছেন আগাগোড়া। আর এ ক্ষেত্রেও মিথ্যা, ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সন্নিবেশিত করে বিষয়টিকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তারা।

তা ছাড়া বিবৃতিদাতাদের মধ্যে দু’একজন ছাড়া ব্যবহৃত অন্যান্য নামগুলো লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, সম্ভবত যোগাযোগ ছাড়াই বেনামী নামগুলো জুড়ে দেয়া হয়েছে। হয়তো এর মাধ্যমে প্রতিবাদের মুখোমুখি না হওয়ার নিরাপদ পথটিই বেছে নিয়েছেন।

কওমী সনদের হিতাকাঙ্খী দাবীদার বিবৃতিদাতারা কওমী শিক্ষা রক্ষা ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে মুরুব্বীদের দৃষ্টি আকর্ষণের অপূর্ব সুন্দর পন্থা হিসাবেই জাতীয় পত্রিকায় কাদা ছুড়াছুঁড়ির ঘৃণ্যপথ ও অনাকাঙ্ক্ষিত পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন?

আমাদের বক্তব্য স্পস্ট, বেফাক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুতরাং তার গ্রহণযোগ্যতা ও আমানতদারিতার ব্যাপারে এর বর্তমান জিম্মাদারগণ সম্পূর্ণ সজাগ ও সতর্ক। একক কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাব থেকে বেফাক মুক্ত আছে এবং সব সময় থাকবে।

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র সাহেবজাদা মাওলানা আনাছ মাদানী এবং মুফতী নুরুল আমীন এর নাম জড়িয়ে যে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং জিঘাংসামূলক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কওমী সনদের মান ঘোষিত হওয়ার পর তার বাস্তব রুপদানের পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ হিসাবে দায়িত্বশীলগণ যে সকল কার্যাবলী সম্পাদন করেছেন এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যে কয়টি বৈঠক করেছেন তা সকলের জ্ঞাতসারে, সম্মতিতে এবং আলোচনার ভিত্তিতেই হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে এককভাবে কাউকে দায়ী করার বা কোন পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নুন্যতম সুযোগ নেই।

তদুপরি পরিকল্পিত উস্কে দেয়া সংশয়, অমূলক বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল পদক্ষেপ ও কার্য সম্পাদন করা হয়েছে এবং যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে সবিস্তারে তা তুলে ধরা হল।

গত ২৩/১১/২০১৬ ঈ. তারিখে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা. বা.) কর্তৃক প্রেরিত একটি চিঠি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের কওমী মাদরাসার সবকটি বোর্ড আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেবের নেতৃত্বে এক হয়ে এলে আমি এবং আমার সরকার কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের মান দিতে প্রস্তুত।

অতঃপর হযরতের আহ্বানে বেফাকসহ বাংলাদেশের ছ’টি কওমী বোর্ড এক হয়ে কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের মান বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে। আল্লামা শাহ আহমদ শফী’কে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়।

উক্ত কমিটির উপর আস্থা জ্ঞাপন পূর্বক গত ১১/০৪/২০১৭ ঈ. তারিখে তিন শতাধিক উলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে গণভবন চত্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবী) এর সমমান প্রদান করা হল”।

গত ১৩/১১/২০১৭ ঈ. তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সহকারী সচিব (স. বি) জনাব আঃ সাত্তার মিয়া এই মর্মে দুই পৃষ্ঠা ব্যাপী একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেন।

প্রজ্ঞাপনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ১৬/০৪/২০১৭ ঈ. তারিখে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা. বা.) এর আহ্বানে সকল বোর্ডের দায়িত্বশীলগণের সম্মতিক্রমে উপরোক্ত কমিটির ৩২ জন সদস্য চূড়ান্ত করা হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় কওমী মাদরাসার ইতিহাসে যোগ হলো একটি সোনালী অধ্যায়। এতে করে কওমী মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ আনন্দিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে কমিটির কর্মপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই কমিটি সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিবেচিত হবে। এ ধারার আলোকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিইয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

এ প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে পরিচালিত। সনদের মানের আইনগত ভিত্তি রচিত হওয়ার জন্য তা জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত হওয়া প্রয়োজন।

তাছাড়া বলা হয়, কোন সনদ মাস্টার্সের সমমানের হতে হলে তা কোন ইউনিভার্সিটি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়া আবশ্যক। এ ব্যাপারে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা. বা.) হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আরও একটি চিঠি প্ররণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে মাওলানা আশরাফ আলী সাহেবের নেতৃত্বে মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ ও মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদসহ সকল বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রেরিত ১৩ জন উলামা উপস্থিত ছিলেন।

পত্রটি গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্শাআল্লাহ আমি আমার সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সনদের মান জাতীয় সংসদে পাশ করিয়ে তার আইনগত ভিত্তি রচনা করে দিব।

বলা বাহুল্য সনদের মানের আইনগত ভিত্তি কিভাবে রচিত হলে কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় থাকবে, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহ অক্ষুণ্ণ থাকবে তার একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা উক্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তা ছাড়া দাওরায়ে হাদীসের নেসাবে তালীম ও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ধারাসমূহের ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে। অতপর ১৭/০৮/২০১৭ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হযরতের ব্যাখ্যাত পত্রসহ শিক্ষমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে (স. বি. মাদরাসাকে) আবেদনের বিষয়ে অতিসত্তর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে কার্যালয়কে অবহিত করার আদেশ জারী করা হয়।

আদেশের প্রেক্ষিতে শিক্ষমন্ত্রাণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২৭/০৮/২০১৭ ঈ. তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান এর বরাবরে প্রজ্ঞাপনটিকে আইনি ভিত্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া প্রণয়ন করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের অনুরোধ করা হয়।

তারপর গত ২৪/০৯/২০১৭ ঈ. তারিখে অফিস আদেশ রূপে আইনের খসড়া তৈরি করার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে ১৬/১০/২০১৭ ঈ. তারিখে উক্ত কমিটির প্রথম সভা করে।

সভায় হাইআতুল উলয়ার গঠনতন্ত্র ও নেসাবে তালীম পর্যালোচনা করে হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যানকে পত্র মারফত জানান, উপর্যুক্ত বিষয়ে আইনী ভিত্তি প্রদানের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে।

আগামী ২০/১১/২০১৭ ঈ. সভায় আপনার প্রতিষ্ঠানের মনোনীত পাঁচ জন বিজ্ঞ সদস্যকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি জনাব সামীম মোহাম্মদ আফজল সাহেব মঞ্জুরি কমিশনের সভার নোটিশসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তাকে ফরিদাবাদ মাদরাসায় পাঠিয়ে কওমী মাদরাসার সনদের মান নেওয়ার ধরন সম্পর্কে অবহিত করার জন্য যেতে বলেন।

হাইআতুল উলয়ার কো চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ সাহেব ও মুফতী নূরুল আমীন সাহেবকে নিয়ে ডিজির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে সনদের মান গ্রহণ করার ধরন সম্পর্কে অবহিত করেন।

ডিজি সাহেব হাইআর গঠনতন্ত্র ও নেসাবে তালীম চাইলে মাওলান আশরাফ আলী সাহেব এ দুটো তাকে দেন।

মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব বলেন, আমরা সরকারের নিকট থেকে দান, অনুদান, বেতন, বোনাস কিছুই চাই না। আমরা চাই প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি থাকুক। দারুল উলূমের মূলনীতির উপর অটল থাকুক।

মঞ্জুরি কমিশন থেকে বলা হয়েছিল যে, আইনগত ভিত্তির খসড়া তৈরীর গঠনতন্ত্র ও নেসাবে তালীম প্রয়োজন। হাইআতুল উলয়ার গঠনতন্ত্রের খসড়া কো চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা ইসমাঈল সাহেবের মাধ্যমে তৈরি করিয়ে ছিলেন।

অতঃপর তার নেতৃত্বে তা প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়। উক্ত পর্যালোচনায় মাওলানা আনোয়ার শাহ সাহেব, মুফতী ওয়াক্কাস, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতী নূরুল আমীন ও মাওলানা ইসমাঈল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই হাইআতুল উলয়ার সদস্য।

গত ০২/১০/২০১৭ ঈ. তারিখের মিটিংয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উক্ত গঠনতন্ত্র অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করে সংশোধন, সংযোজন সহ অনুমোদন করা হয়। এ সভায় সকল বোর্ডের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্র অনুমোদন লাভ করে।

এ প্রসঙ্গে বেফাক কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, মরহুম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী রহ. এর ইন্তেকালের পূর্ব থেকে বেফাকে বেশ কিছু অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।

এ সমস্যা নিরসনকল্পে এবং বেফাককে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি খাস কমিটি গঠন করা হয়। খাস কমিটি বিগত এক বছরে ৭ টি মিটিং করে।

কমিটি অনিয়ম দূর করা ও নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সকল অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণ চিহ্নিত না হওয়ায় তদন্ত কার্য সমাপ্ত করা সম্ভবপর হয়নি। তদন্ত যথানিয়মে চলমান।

কারণসমূহ চিহ্নিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রকাশ থাকে যে, আল্লামা শা আহমদ শফী (দা. বা.) বেফাকের সভাপতি, হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান, সর্বোপরি তিনি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মুসলমানের মুরুব্বী।

বেফাকের সর্বপ্রকার কার্যক্রম তাকে অবগত করা হয়। তিনি খোঁজখবর নেন এবং পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন। অন্য কেউ তার উপর প্রভাব বিস্তার করার অবকাশ নেই।

বিবৃতিতে বেফাক নেতৃবৃন্দ ভিত্তিহীন খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন।

বেফাক আমেলার বৈঠকে শিগগির কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত

ফুলপুরে বেফাকের উপজেলা কার্যকরী কমিটি গঠিত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেফাক প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ