বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


সরকারি বেতন পাবেন ১৮ হাজার মাদরাসার শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : সরকার দেশের ১৮ হাজার নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতনভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে তারা নামমাত্র ভাতা নয়, পূর্ণ বেতন পাবেন এখন থেকে।

বর্তমানে এসব এবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা সরকারি কোনো বেতন পান না। ভাতা হিসেবে পান মাসে দুই হাজার ৩০০ টাকা। তাও পান ৩ মাস পরপর।

২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

উদ্যোগ বাস্তবায়নে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনে আরও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও মঞ্জুরি, শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (মাদ্রাসা) আহবায়ক করে গত ৪ অক্টোবর ১১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।

এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করবে।

নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এই শিক্ষকরা দাখিল মাদরাসায় সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সমান বেতন পাবেন।
পর্যায়ক্রমে এগুলো জাতীয়করণ বিবেচনার জন্যও সুপারিশ থাকবে চূড়ান্ত নীতিমালায়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, '২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সরকার শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে। সরকার নিশ্চয়ই শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।’

উল্লেখ্য, বেতন বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শহীদুল্লাহ বালিকা ইবতেদায়ি মাদ্রাসার চার শিক্ষক।

সেখানে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে যান তারা। এ বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিলেও মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ না নেয়ায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে আদালত বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত।

শিক্ষক নেতা কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও মন্ত্রণালয় এখনও ব্যবস্থা নিতে পারে নি। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বঞ্চিত এ শিক্ষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ