শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

দেওবন্দের ফতোয়া, স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ নাজায়েজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
বিশেষ প্রতিবেদক

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া নাজায়েজ। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোনো ছবি দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের ইসলামী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দ

দারুল উলুম দেওবন্দের হয়ে দারুল ইফতা ঘোষণা করেছে যে মুসলমান পুরুষ হোক অথবা মহিলা, তার স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া উচিত নয়। শুধু নিজের ছবিই নয়, ফতোয়া অনুযায়ী পরিবারের কারও ছবিই দেওয়া যাবে না।

কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি দারুল ইফতার ফতোয়া বিভাগে চিঠি দিয়ে জানতে চান, তিনি এবং তার স্ত্রীর ছবি ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া ইসলাম বিরুদ্ধ কি না ? এর উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ এই ফতোয়া দেয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম (উপাচার্য) মুফতি আবদুল কাসিম নোমানি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আলোকচিত্র বা ছবি তোলা নাজায়েজ।

শরিয়ার বিচারে পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া মুসলমানেরা ছবি তুলতে পারে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ছবি তোলা কিংবা বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও করার অনুমতি দেয় না ইসলাম।

দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ দারুল ইফতা ফতোয়াটি দিয়েছে প্রকৌশলে স্নাতক একজন ছাত্রের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে। ওই ছাত্র মুফতি নোমানিকে বলেন, তিনি আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহী এবং আলোকচিত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান।

জবাবে মুফতি বলেন, ‘আলোকচিত্র অবৈধ এবং পাপ। হাদিসে এটিকে কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুমি আলোকচিত্রের ওপর কোর্স কোরো না। তুমি প্রকৌশল-সংশ্লিষ্ট কোনো পেশা বেছে নাও।’

প্রকৌশলের ওই ছাত্রের উত্তর সংবলিত ফতোয়াটি দারুল ইফতা বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। ফতোয়াটি সমর্থন করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল পার্সোনাল বোর্ড’-এর সদস্য মুফতি আবুল ইরফান কাদরি রাজ্জাকি।

তিনি বলেন, ‘ইসলাম মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে। কেউ এটা করলে তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ