শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


‘ব্লু হোয়েল’ গেমস নিয়ে অনন্ত জলিলের হৃদয়স্পর্ষী আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ব্লু হোয়েল নামের অনলাইন গেমস আতঙ্ক তৈরি করেছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশকেও পিছু ছাড়েনি। অনেকেই ইতোমধ্যে এ গেমস খেলে মৃত্যুর দিকে নিজেকে ধাবিত করেছেন। এই নিয়ে বোদ্ধমহল চিন্তিত। গেমসটি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিল্পী ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।

সোমবার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি আল্লাহতায়ালার দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। তবে আমি মানসিকভাবে কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত, তার কারণ ব্লু হোয়েল গেমসের চিন্তায়। এই গেমসটির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভবনাময়ী প্রাণ হারিয়েছেন।

এর বিষাক্ত ছোবল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও পরেছে। যার ফলে আমি শংকিত, আমার দেশের সম্ভবনাময় তরুণ-তরুণী নিয়ে।

তবে আশাকরি বাংলাদেশের যুবক-যুবতীরা বেশ মেধাবী এবং জ্ঞানী। তারা জানেন এই গেমস তাদের শুধু বিপদেই ফেলবে না, তাদের সাথে তার পরিবারকেও অনিশ্চিত রাস্তায় ঠেলে দিবে। আমি আল্লাহর কাছে কড়জোড়ে দোয়া করছি, আল্লাহ যেন বাংলাদেশের সকলকে বিশেষ করে যারা গেমস খেলেন তাদের এই বিপদগামী গেমসের হাত থেকে রক্ষা করেন।

বন্ধুগণ, একটা কথা ভাবতে হবে, কেন আপনি অপরের নির্দেশনায় কাজ করবো যাকে আমরা কখনও দেখেন নি। যার পরিচয় জানেন না তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিবেন?

আমরা জানি আত্মহত্যা মহাপাপ, তবে কেন আমরা এই গেমস খেলতে যাবো? কেনো এই গেমসের সাথে সংযোগ স্থাপন করবো? আমরা অবশ্যই এই গেমস থেকে দূরে থাকবো এবং কেউকে এই যদি খেলতে দেখলে বা শুনলে অবশ্যই তাকে আমরা গেমসটি হতে যে কোন উপায়েই ফিরিয়ে আনবো।

কারণ সে তো অবশ্যই কারো সন্তান, ভাই বা বোন। আমি চাইনা শুনতে আমার প্রিয় দেশের কেউ এই গেমসের প্রভাবে নিজের সামান্যতম ক্ষতির সম্মুখীন হোক।

বন্ধুগণ, এইসব ফালতু গেমস নিজের মোবাইলে ইন্সটল করে নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন গেমসের এডমিনকে একসেস দেয়ার কোন মানেই হয় না। অপরকে ব্ল্যাকমেল করতে দিবেন কেন? ব্লু হোয়েল খেলা মানেই নিজেকে ব্ল্যাকমেলে ফেলা।

একটু মাথা খাটান ..
ধরুন অপরিচিত কেউ আপনার একটা একান্তই ব্যক্তিগত ছবি চাইল। যে ছবি অন্য কেউ দেখলে আপনার মানসন্মান শেষ। আপনি দিবেন?

ব্লু হোয়েল এইসবই গেমের মাধ্যমে চাইবে।

সুতরাং এইসব ফালতু জিনিস মাথায় না নিয়ে মাথা খাটান ভালো কিছুতে যা নিজের এবং মানুষের উপকারে আসে।

বন্ধুগণ, আমরা বেশির ভাগই মুসলিম ঘরের সন্তান। ইসলাম আমাদের শান্তির পথ দেখায়, ভালো ও আলোর পথ দেখায়। আসুন এ সব বিপথে পরিচালিত গেমসকে দূরে ফেলে, সে সময়ে ভালো কিছু করি।

বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। আমরা চাইলে সফটওয়্যার, ফটোশপ, গ্রাফিক্সসহ অনেক সেক্টরে কাজ করতে পারি লেখাপড়ার পাশাপাশি। এতে যেমন নিজের প্রতিভাকে যর্থাথ ব্যবহার করা হবে তেমনিভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ, আশা করি আমরা নিজেও এ গেমসে ধারে কাছে যাবো না, অপরকেও যেতে দেবো না। কেউ এ গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে দেখলে, তাকে যথাযথ উপায়ে গেমসের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনবো এবং পরবর্তীতে তাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করবো, ইনশাআল্লাহ্।

সাথে নিজেও নিজের ধর্ম পালন করবো এবং অন্যদের পালন করতে দাওয়াত দিবো এবং উৎসাহিত করবো ইনশাআল্লাহ্। বন্ধুগণ, ভালো থাকবেন।

অনুগ্রহ করে পোষ্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ।
-অনন্ত জলিল

ব্লু হোয়েল: পরিচিতি, প্রতিকার-প্রতিরোধ ও সচেতনতা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ