বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

সেনারা মায়ের পেট কেটে বাবুকে বের করে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথাকথিত ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ এর ভয়াবহ বিবরণ নির্যাতিত মানুষের বয়ানিতে উঠে এসেছে। তার একটি যেনো অন্যটিকে হার মানায়। এ নির্মমতার সাক্ষী নারী, পুরুষ, শিশু কিশোর সব বয়সী মানুষ। ৭ বছরের এক শিশুর কাছে একটি বিবরণ শুনে গা শিউরে উঠলো। শিশু আয়াতুল্লাহর সে গল্প পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।

২৭ আগস্ট কালো রাতে, সাড়ে ১০টার সময় সশস্ত্র মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি ১০/১৫জন সদস্য আমাদের বাড়ি গিয়ে প্রথমে বাবাকে বেঁধে ফেলে। এরপর মাকে আমাদের সামনে বিবস্ত্র করে নানান নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা।

তখন আমার মায়ের পেটে বাবু ছিলো। সেনারা আমার মার পেট কেটে বাবু বের করে।

তখন বাবা চিৎকার দিয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমার বাবাকে মারধর করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এরপর তারা আমাদের ঘর থেকে বের করে দেয়। মা আর বাবুকে ফেলে আমি আর বাবা পালিয়ে আসি। অনেকদিন পাহাড়ে-বনে-জঙ্গলে অনাহারে অনাধারে পায়ে হেটে পৌছি কোয়াংছিবন সীমান্তে।

বাবা আর আমি আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আসি। বর্তমানে আমরা কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিম পার্শ্বে ঝুঁপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি।

বাবা আর আমি ছাড়া আর নেই পরিবারে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তার সাথে দেখা হয় টিভি রিলে কেন্দ্রে সামনে অন্যান্য রোহিঙ্গা শিশুদের সাথে খেলার ছলে।

তার বাবার নাম মোঃ শামশুল আলম, মায়ের নাম ছিল দিলবাহার। তারা মিয়ানমারের বলিবাজার ধুমবাই এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার অনেক ধন সম্পদ ছিল মিয়ানমারে কিন্তু সেদিকে না থাকিয়ে কোন রকম জীবন রক্ষার্থে আমরা বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ