বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


নেতিবাচক বিষয়টি আলোচনার প্রয়োজন হল কেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যাকারিয়্যা মাহমুদ
আলেম ও লেখক

আসুন আমরা হেফাজতের আজকের সমাবেশের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করি, গতকাল এ জাতীয় কিছু পোস্ট দেখলাম ফেসবুকে। ইতিবাচক সবকিছু বাদ দিয়ে কেন কেবল এ ধরনের নেতিবাচক বিষয় খুঁজে খুঁজে টেনে এনে আলোচনার প্রয়োজন হল জানি না।

তবে এতটুক জানি ওনারা কেউই হেফাজতের দায়িত্বশীল কোন নেতৃবৃন্দ নন। তারা হেফাজতের কল্যাণকামী শুভাকাঙ্ক্ষী। সঙ্গত কারণেই তারা হেফাজতকে ভালবাসেন। কিন্তু বিষয়টা হল, এভাবে কোন সংগঠনের দায়িত্বশীল বা নির্বাহীরা ব্যতিত সাধারণ মাঠ পর্যায়ের সমর্থকদের এ ধরণের নেতিবাচক সমালোচনা কি আদৌ কোন কল্যাণ বয়ে আনে? মূলত ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আলোচনা করা এটি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া।

প্রতিটি শক্তিশালী, দক্ষ ও সফল সংগঠনই তার যেকোনো প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পরে তা করে থাকে। সাধারণকর্মীদের এতে কোন সম্পৃক্ততা থাকা উচিৎ নয়, কারণ এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়।

মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর স্টেজে সামনের সারিতে বসা নিয়েও দেখলাম তুমুল হৈচৈ। তিনি কেন সামনে গিয়ে বসলেন তা নিয়ে কারো কারো চরম আপত্তি! আপত্তি থাকতেই পারে, এটি স্বাভাবিক। মাওলানা হাসানাত স্বেচ্ছায় জোরপূর্বক সামনে গিয়ে বসুন এটি আমিও চাই না। আর এখানেই বোধয় আমাদের আপত্তির জায়গাটা সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ।

তবে বাস্তব সত্য তো মনে হয় এটিই যে, মাওলানা হাসানাতকে স্টেজের সামনে গিয়ে বসার জন্য বোধয় কখনো জোরাজুরি করতে হয়না, মুরুব্বি হযরতরাই তাকে সস্নেহে হাত ধরে সামনে নিয়ে বসিয়ে দেন।

কেউ কেউ তার বসার স্টাইল নিয়েও কথা বলেছেন, তার বসার স্টাইলটি নাকি দৃষ্টিকটু। হতে পারে। তবে আমি সবকিছুতেই নেতিবাচক দিক খুঁজে বেড়াই না। আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি মুরুব্বিদের পায়ের কাছে বিনয়াবতভাবেই বসে আছেন।

আগামী দিনের সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে হাসানাতের জন্য এ এক বড় পাওয়া। আমদের মুরুব্বিদের উচিৎ শুধু এক হাসানাতকেই নয়, আরো শত শত হাসানাতকে স্টেজের সামনে নিয়ে আসা।

জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যুবকদেরকে আন্দোলনের প্রথম সারিতে স্থান করে দেওয়া। এখনই সময় যুবকদের হাতে আগামী শক্তিশালী নেতৃত্বের ঝাণ্ডা তুলে দিতে যোগ্য ও সাহসী করে তোলা। এটি সময়ের দাবী।

মনে রাখা উচিৎ, যুবকদের ব্যতিত জগতের কোন আন্দোলনই কখনোই সফল হয়নি, হতে পারেনা। কারণ যুবকরই একটি আন্দোলনের প্রাণ।

রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়আসাল্লাম অনেক প্রবীণ সাহাবায়ে কেরাম উপস্থিত থাকার পরও ১৭ বছরের যুবক ওসামাকে যুদ্ধের সেনাপতি বানিয়েছিলেন, কোন সাহাবী তাতে আপত্তি করেননি, এ ঘটনাটিই কি আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়?

তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেওয়া হয় যে, মাওলানা হাসানাত লৌকিকতার জন্য বা ক্যামেরার সামনে আসার জন্যই সামনে গিয়ে বসেন, এখানে আমি বলবো, যদিও তা মানুষকে দেখানর জন্যও হয়ে থাকে তবুও ভালো।

আসলে সত্য তো এখন এটিই যে, আজকাল লোক দেখানো বিনয়ের জন্যও লোক খুঁজে পাওয়া যায়না। চতুর্দিকে তো কেবল দেখি অহমিকায় আক্রান্ত আত্মম্ভরিদের ভিড়!

লেখক: সম্পাদক, প্রবাসীকাল

মাস্তানতন্ত্র জিন্দাবাদ, নিয়মনীতি মুরদাবাদ-১


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ