বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

যে কবিতা পড়ে জেলে গিয়েছিলেন এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ শোয়াইব : হাজার দ্বীপ দিয়ে ঘেরা সুসজ্জিত তুরস্ক ভূখণ্ড। এর কিছু অংশ ইউরোপের অন্তর্গত হলেও অধিকাংশ এলাকা পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত। তাই একে দ্বি-মহাদেশিক দেশ বলা হয়। দেশটি পশ্চিমে ইজিয়ান সাগর ও গ্রিস, উত্তরে বুলগেরিযা ও কৃষ্ণ সাগর, পূর্বে সাবেক সোভিয়েত রাশিযা ও ইরান এবং দক্ষিণে ইরাক, সিরিয়া ও ভূ-মধ্যসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত।

সাগরবেষ্টিত উপকূল জুড়ে ব্লু-ওয়াটার বা নীল জলরাশি, গ্রিস বোট, সার্ফিং-রাইডস, সী-বোট, ডাইভিং সরঞ্জামাদি, কেনাকাটার মনোরম ও বিলাসবহুল শপিং প্লেসেস, সী-সাইড রিসোর্ট, হলিডে আর ফেস্টিভাল উদযাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা-আয়োজন দিয়েই সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে এখানকার সবকিছু।

দেশটির মোট আয়তন ৭, ৭৯, ৪৫২ বর্গকিলোমিটার। মোট আয়তনের ২৩,৭৬৪ বর্গ কি.মি. ইউরোপে এবং বাকি ৭,৫৫,৬৮৮ বর্গ কি.মি. এশিয়ায়। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী লোকসংখ্যা ৭ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার। জনসংখ্যার ৯৮.২% ভাগ মুসলমান। ভাষা : তুর্কী। মুদ্রা : লিরা।

তুরস্কের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো, নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বিশ্বসেরা মসজিদ, স্থাপত্যশিল্প, চোখ ঝলসানো মিনার, আকাশচুম্বি গম্বুজ ইত্যাদি। এগুলো তুরস্কের জাতীয় নিদর্শনে পরিণত হয়েছে। তুরুস্কে ব্যাপকহারে বাড়ছে মসজিদ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৮৬ হাজার ৭৬২ টি মসজিদ রয়েছে তুরস্কে। শুধু রাজধানী ইস্তাম্বুলেই রয়েছে ৩ হাজার ৩১৭ টি মসজিদ।

সম্প্রতি তুরুস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয় ধর্মীয় অঙ্গনে যারা কাজ করেন তাদেরকে নিয়ে ‘মসজিদ সপ্তাহ’ পালন করেছে। সভ্যতা-সংস্কৃতি বিস্তারের ক্ষেত্রে মসজিদের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও গুরুত্ব কী ছিল তা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করাই ছিল এর মূখ্য উদ্দেশ্য।

প্রতিবছরই এ ধরনের মসজিদ সপ্তাহ পালন করা হয় তুরস্কে। এর যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৩ সালে। মসজিদের কার্যক্রমে বৈচিত্র আনা, মসজিদের পাশে পাঠাগার গড়ে তোলা, মসজিদে শিক্ষামূলক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করা ইত্যাদি কার্যক্রমসহ প্রতিবছরই নতুন নতুন চিন্তা ও পরিকল্পনা করা হয় এসব অনুষ্ঠানে।

উল্লেখ্য, মসজিদ নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করার কারণে ১৯৯৮ সালে জেল খেটেছিলেন  তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান। তিনিই এখন এই মসজিদের দেশটিকে শাসন করছেন।

এরদোগানের কবিতাটি ছিল এরূপ :

قبابنا خوذاتنا، مآذننا حرابنا، والمصلون جنودنا وهذا الجيش المقدس يحرس ديننا

“আমাদের গম্বুজ আমাদের হেলমেট, আমাদের মিনারগুলো আমাদের জন্য বর্শা প্রস্তুতকারী, আর মুসল্লিরা আমাদের সেনাবাহিনী। এই পবিত্র সেনাবাহিনীই আমাদের ধর্মকে রক্ষা করছে।”

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ