বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


বেফাক সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিগত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ১২ ও ১১ পৃষ্ঠায় ‘চাকুরিচ্যুত কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কর্তৃপক্ষ।

আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ মিডিয়াকে পাঠানো হয়। বিবৃতিতে সংবাদের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের অভিযোগগুলোও উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈং তারিখে প্রকাশিত ইনকিলাব পত্রিকার ১২ ও ১১ পৃষ্ঠায় ‘চাকুরিচ্যুত কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেফাক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

এ ব্যপারে বেফাক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এই যে, দীর্ঘদিন থেকেই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাময়িক কর্মী বেফাকের বিধি-বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আসছে। এ অভিযোগের কারণে বেফাক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উক্ত তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য প্রমাণ এবং মৌখিক স্বীকারোক্তি গ্রহণসহ অন্যান্য পন্থায় যাচাই-বাচাই করে এগারো জনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বেফাক কমিটি অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্গকে পেশকৃত অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে অভিযুক্ত ও দোষী বলে স্বীকার করে এবং অধিকাংশই চাকুরি থেকে অব্যাহতিপত্র দাখিল করে।

কমিটি আলাপ আলোচনা করে সর্ব সম্মতিক্রমে তাদের অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করে এবং বাকি অভিযুক্তদের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বেফাকের স্বার্থে অব্যাহতি দেয়।

উল্লেখ্য, মাওলানা যুবায়ের আহমদ বেফাকের আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন। তাছাড়া, তার কাছে বেফাক বর্তমানে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা কূপন বাবত পাওনা। তিনি এর সুষ্ঠু হিসাব দিতে পারেন নি।

মরহুম মহাসচিবের আমলে বেফাকের মালামাল চুরি ও নিয়ম শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের দরুন অহিদুজ্জামানকে কমিটি অব্যাহতি দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে সাময়িক কাজ করার সুযোগ দেয়া হলে তার থেকে আবারও চুরিসহ অন্য কর্মীদের সাথে অসদ আচরণ প্রকাশ পাওয়ায় তাকে পুনরায় অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরো যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের ব্যপারেও তদন্ত চলছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে সিদ্ধান্তের সবগুলো সভা বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী সাহেবের সভাপতিত্বে হয়েছে। তিনি উপস্থিত সকল সদস্যের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবগুলো সিদ্ধন্ত দিয়েছেন।

অতপর বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. কে সিদ্ধান্ত সমূহ জানানো হয়েছে। তিনি এতে খুব সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আরো যারা যারা অভিযুক্ত রয়েছে তাদের ব্যাপারেও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক।

অতএব, এধরনের ভিত্তিহীন সংবাদে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য পাঠক ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি বেফাকের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো।

বেফাককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে; ময়মনসিংহে বেফাকের নেতৃবৃন্দ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ