বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


ট্রাম্পের অভিযোগ: মার্ক জাকারবার্গের প্রত্যাখ্যান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘গোপন আঁতাতের’  অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন স্বয়ং মার্কীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প।

গত বুধবার  এক টুইটে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। ফেইসবুককে ‘ট্রাম্পবিরোধী’ খেতাবও দেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একই টুইটে সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনেন।

ট্রাম্পের টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর ফেইসবুকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সব ধারণার সন্নিবেশ ঘটানো যায় এমন একটি প্লাটফর্ম বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

জাকারবার্গ বলেন, ‘সমস্যাযুক্ত বিজ্ঞাপন’ বাদ দিলে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেইসবুকের অবদান কম নয়।

“ফেইসবুক জনগণকে কণ্ঠ দিয়েছে; প্রার্থীদের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে, সাহায্য করেছে।”

বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনের সময় ফেইসবুকে যার যার অপছন্দের বিষয় দেখে হতাশ হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। ট্রাম্পের জয়ে সুযোগ করে দেওয়ায় উদারপন্থিরা তাকে অভিযুক্ত করেন বলেও মন্তব্য জাকারবার্গের।

নির্বাচনের সময় অনলাইন প্রচারে প্রার্থীরা কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছেন উল্লেখ করে ফেইসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় তখন হাজারগুণ বেশি ‘সমস্যাযুক্ত বিজ্ঞাপনের’ অস্তিত্ব পেয়েছেন তারা।

ফেইসবুকে ভুল তথ্য নির্বাচনের ফল বদলে দিয়েছে এমন ভাবনাকে ‘পাগলামি’ বলার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন ৩৩ বছর বয়সী এই মাল্টিমিলিয়নেয়ার। নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর উদারপন্থিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাকারবার্গ ওই কথা বলেছিলেন।

‘সবার জন্য একটি সম্প্রদায় বানাতে’ ফেইসবুক ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাকারবার্গ অন্য কোনো রাষ্ট্রের ছড়ানো ভুল তথ্য প্রতিরোধ এবং নির্বাচনের ফল বদলে দেয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে তার প্রতিষ্ঠান থাকবে বলেও মন্তব্য করেন।

সাত ঘণ্টার মধ্যে জাকারবার্গের ওই পোস্টে সোয়া লাখ ‘লাইক’ পড়েছে, মন্তব্য করেছেন ৮ হাজার ব্যক্তি। শেয়ার হয়েছে নয় হাজার বার।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে কংগ্রেসের তদন্ত দলকে তিন হাজারেরও বেশি বিজ্ঞাপনের তথ্য দেওয়ার কথা ফেইসবুকের। সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমের ধারণা, নির্বাচনের সময় ও পরে দেওয়া এসব বিজ্ঞাপনের পেছনে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থাগুলোর দাবি, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি কমিটি ও এফবিআই এই বিষয়ে তদন্ত করলেও ক্রেমলিন শুরু থেকেই মার্কিন নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

নির্বাচনী প্রচারের সময় রিপাবলিকান শিবিরের কর্মকর্তারা রাশিয়ার সঙ্গে অনৈতিকভাবে যোগাযোগ করেছেন, এমন অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন ট্রাম্পও।

নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে তথ্য দিতে ফেইসবুক, গুগল ও টুইটারকে চিঠি দিয়েছে সিনেটের ইন্টিলিজেন্স কমিটি।

ফেইসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই তিন ‘জায়ান্ট’ প্রতিষ্ঠানের কেউই এখন পর্যন্ত ১ নভেম্বরের শুনানিতে হাজির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ