হামিম আরিফ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের তারুণ্যোদ্দীপ্ত কওমি লেখকরাই ফিরিয়ে আনতে পারে সোনালি যোগ। আপনারা লিখুন, সমাজের ন্যায় ও অন্যায় চিহ্নিত করুন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদরাসায় কুরআন ও হাদিস শেখানো হয়। তারা সঠিক ইসলাম শেখে। আমি বাংলাদেশের বহু মাদরাসায় ঘুরেছি। তাদের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। তারা কখনো অন্যায় কাজের মদদদাতা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমি লেখকদের অনেক প্রোগ্রামে গিয়েছি। কিন্তু এত লেখককে একসঙ্গে কখনো পাইনি। আপনারা ভালো কিছু করবেন বলেই আমি আশাবাদী। আমি আপনাদের কাজের সহযোগী হবো ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সহসভাপতি মাসউদুল কাদির ও সহ সাধারণ সম্পাদক রোকন রাইয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও নজরুল গবেষক মহিউদ্দিন আকবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুফতি গোলাম রব্বানি, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, আল নূর কালচারাল সেন্টার কাতারের চেয়ারম্যান মাওলানা ইউসুফ নূর ও সংগঠনের বাংলাদেশ শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি সালমান আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইস্কান্দার মির্জা শামীম, বিশিষ্ট রাজনীতিক ইমতিয়াজ আলম, লেখক ও মুহাদ্দিস মাওলানা নাসিম আরাফাত, মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, ভাষাবিদ আইয়ুব বিন মঈন, লেখক রায়হান মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগটনের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর।
এর আগে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে ছড়া পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী লেখক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিন ইকবালের পরিচালনায় প্রায় ২০ জন ছড়াকার ছড়াপাঠে অংশ নেন।
সন্ধ্যায় ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম মামুন, আবু রায়হান, ইয়াসিন হায়দারসহ আহবান, সমাধান, শাহে মদীনা, রঙধনু ও কুহুতান শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাইদুজ্জামান নূর।
সঙ্গীত সন্ধ্যা পরিচালনায় ছিলেন, সংগঠনের সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল মুমিন ও প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক মজুমদার।
অনুষ্ঠানে কেরাত পাঠ করেন বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী। অনুষ্ঠানে হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী ও তার উস্তাদ কারী নেছার আহমান আন নাছিরীকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সবশেষে ছিল দর্শকপর্ব। সংগঠনের সাধারণ সম্পদক মুনীরুল ইসলামের পরিচালনায় মনোমুগ্ধ এ পর্ব দর্শক উপভোগ্য হয়ে উঠে। শেষে ৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সদস্যসহ তিন শতাধিক লেখক সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সংগঠনের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ও সাধারণ সম্পাদক মুনীরুল ইসলাম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরআর