বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ ।। ৬ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৭ সফর ১৪৪৭


হেফাজতের মিছিলে পুলিশের বাধা; দূতাবাসে যাচ্ছেন ১০ নেতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এর ফলে শান্তিনগর থেকে সমাবেশ শেষ করেছেন নেতারা।

মিছিল থেকে মাওলানা আবদুল গাফফার জানান, দুপুর ১২ টায় পল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মিয়ানমার দূতাবাসের দিকে রওনা দেন। পথে শান্তিনগর পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়।

সংগঠনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকেই বায়তুল মোকাররমে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধো করো, মানবতা রক্ষা করো ইত্যাদি স্লোগানে নেতা কর্মীরা পল্টন ও আশপাশের এলাকা মুখর করে তোলেন।

Image may contain: 4 people, people standing and outdoor

জানা যায়, মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখী মিছিল পুলিশ শান্তিনগরে আটকে দিলে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আমির আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সংক্ষিপ্ত ভাষণের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি আগামীতে আরও বড় ধরনের কর্মসূচি করার কথা জানান।

এদিকে দূতাবাস অভিমুখী মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন প্রতিনিধি মিয়ানমার দূতাবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূর বরাবর প্রতিবাদ লিপি পাঠাবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা ১০ জন প্রতিনিধি যাচ্ছি মিয়ানমার দূতাবাসের দিকে। মিয়ানমার দূতাবাস ছাড়াও জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

তিনি জানান প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল করীম, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা মুনীর হোসাইন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমার মুসলিম হত্যা যে নজির দেখিয়েছে তা বিশ্বের আর কোথাও নেই। নির্বিচারে গুলি ও জাবাই করে মানুষ হত্যাকারীদের ব্যাপারে দ্রুত কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিশ্ববাসীকে। না হলে এর গজবে পতিত হতে হবে সবাইকে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর