এ এস এম মাহমুদ হাসান; বিশেষ প্রতিবেদক
মিয়ানমার সরকারের আরাকান রাজ্যে দানবীয় হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস আচরণের প্রতিবাদে আজ হেফজতে ইসলামের পক্ষ থেকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তারা নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য আরাকান স্বাধীন করতে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষনা দেন।
আজ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আহ্বানে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিপূর্ব সমাবেশে লংমার্চে শরীক হতে আপামর জনতাকে তৈরি হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, মিয়ানমার পৃথিবীতে পৈশাচিকভাবে জীবন্ত মানুষকাঁটা রাষ্ট্র হিসেবে ইতিহাসের কালো পাতায় লিপিবদ্ধ থাকবে। স্বরণকালে নির্মম কায়দায় এমন নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটনা কোথাও ঘটেনি।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে আজ মুসলিম বিশ্বসহ গোটা পৃথিবীর মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে। আমরা আরাকান স্বাধীন করে বিতাড়িত মুসলিম রোহিঙ্গা ভাইদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।
এসময় বক্তারা বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সমালোচনা করে বলেন, একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র যখন হাজার হাজার মানুষকে গলা কেটে, বুকে ছুরিকাঘাত করে, জীবন্ত পুড়িয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে, শিশুদের পাড়িয়ে, শূন্যে তুলে, আছড়িয়ে নির্মম কায়দায় হত্যা করছে। নারীদের ধর্ষন করে ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে শরীর। ঠিক তখনি বিশ্ব মোড়ল গোষ্ঠি শুধু মিয়ানমারের সমালোচনা করে বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ তারা মানবিকতার প্রশ্নে মিয়ারমারের বর্বরোচিত পাশবিকতা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকাই নিচ্ছে না।
বক্তারা এ সময় মিয়ানমারকে অবরোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বকে জোরালোভাবে আহবান জানান।
সংগঠনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকেই বায়তুল মোকাররমে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। হত্যা বন্ধো করো, মানবতা রক্ষা করো ইত্যাদি স্লোগানে নেতা কর্মীরা পল্টন ও আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।
অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে মিয়ানমার দূতাবাস অভিমূখে রওনা দেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি শান্তিনগর পৌছলে পুলিশ বাঁধা দিলে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরী সভাপতি আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
শান্তিনগরে পুলিশের বাধায় মিছিল শেষ; দূতাবাসে যাচ্ছেন ১০ নেতা