বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


মানব মস্তিষ্ককে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্তকরণের পদ্বতি আবিষ্কার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বশির ইবনে জাফর: বায়োমেডিকেল প্রকৌশলে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ।

মেডিকেল বিষয়ক আবিষ্কারের তথ্য উত্থাপনের মাধ্যম- মেডিকেল এক্সপ্রেস জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথমবারের মতো গবেষকগণ মানুষের মস্তিষ্কক ইন্টারনেটের সাথে সংযু্ক্ত করেছেন। এই প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ব্রেইনটারনেট (Brainternet) এবং প্রকাশিত সে নকশানুযায়ী এটি বাস্তবিক অর্থেই মানুষের মস্তিষ্ককে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে (www) একটি ইন্টারনেটের বস্তুতে (IoT) পরিণত করেছে।

এই প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর মস্তিষ্ককে একটি ডিভাইস (Emotive EEG device) এর সাথে যুক্ত করে

মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত ইইজি (EEG) সিগনালগুলো সংরক্ষণ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় কাজ করা হয়। তারপর এই সিগনালগুলোকে একটি রাসবেরি পাই কম্পিউটারে পাঠানো হয়।

এই কম্পিউটার প্রাপ্ত ডেটা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেইস বা এপিআই-তে সরাসরি সম্প্রচার করে। সেইসঙ্গে যে কেউ দেখতে পাবেন এমন একটি উন্মুক্ত ওয়েবসাইটেও ওই ডেটা প্রদর্শন করা হয় এবং সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কোনো ব্যবহারকারী মস্তিষ্কের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার উইটস স্কুল অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইনফরমেশনের একজন প্রভাষক এবং এই প্রকল্পের সুপারভাইজার অ্যাডাম প্যান্টানোউইটজ এ প্রসঙ্গে বলেন, “ব্রেইনটারনেট হলো ব্রেইন-কম্পিউটার যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি নতুন দিগন্ত।

মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে সেই সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞানের অভাব আছে। ব্রেইনটারনেট একজন মানুষের নিজের মস্তিষ্কের সরলীকৃত জ্ঞান তৈরি করে এবং অন্যান্যদের মস্তিষ্ককেও ওই ব্যক্তির কাছে একইভাবে উপস্থাপন করে। মস্তিষ্কের কর্মকান্ডের নিরবচ্ছিন্ন তদারকির মাধ্যমেই এই কাজ করা হয় এবং এভাবে এটি মস্তিষ্কের তথ্যও স্থানান্তর করে।”

প্যান্টানোউইটজ বলেন, প্রকল্পের নানাবিধ সম্ভাবনার মধ্যে এটি কেবল সূচনা। তিনি যোগ করেন, গবেষকদলটি এখন মস্তিষ্কের আরো নানাবিধ কর্মকান্ডের মধ্যে ব্যবহারকারীদের সংযোগ ঘটাতে চেষ্টা করছেন।

কিছু কিছু কর্মকাণ্ড এরই মধ্যে ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হয়েছে যদিও এর পরিসর এখনো সিমীত। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের আরো অগ্রগতি তৈরি হবে বলে বিজ্ঞানীগন আশা প্রকাশ করেছেন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর