বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


‘রোহিঙ্গা সমাধানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, ওআইসি ও জাতিসংঘকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এহসান বিন মুজাহির: বরুণার পীর, আমীরে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম, শায়খুল হাদিস আল্লামা খলিলুর রহমান হামিদী বলেছেন, মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট বর্বর যুগকেও হার মানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালোনো হচ্ছে!

সংখ্যালঘু মুসলমান হওয়ায় রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠিদের মিয়ানমার থেকে নিধন করতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সেই অংসাং সুচির নির্দেশে সামরিক বাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধরা সম্মিলিতভাবে নির্বিচারে গুলি, খুন, লুট, ধর্ষণসহ নানা নির্যাতন চালাচ্ছে! বাড়িঘর, মসজিদ-মাদরাসা, ক্ষেত-খামার, ফল-ফসল আগুনে জ্বালিয়ে দিচ্ছে!

এসব নির্যাতনের বর্ণনার ভাষা আজ অভিধানে নেই! জালিম মিয়ানমার সরকারকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ মজলুমদের হেফাজত করবেন।

তিনি আরও বলেন-রোহিঙ্গাদদের নাগরিকত্বের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ছাড়া এই সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সেই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক চাপ দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিশ্বমোড়লদের কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, খাবার, ওষুধসহ যাবতীয় প্রয়োজনে বাংলাদশ সরকারকে এগিয়ে আসার আহবানের পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের সামর্থবান ব্যক্তিদের।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শাহ মোস্তফা রোডস্থ মৌলভীবাজার টাউন ইদগাহের সামনে ওলামা পরিষদ মৌলভীবাজারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল বারী ধর্মপুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, রায়পুর মাদরামার প্রিন্সিপাল মাওলানা গিয়াস উদ্দিন ও জামেয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি হাবিবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে মৌলভীবাজার জেলার শীর্ষ আলেম, শহর এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার কওমি মাদরাসাসমুহের প্রিন্সিপাল/প্রতিনিধি এবং ইমাম-খতিবরা বক্তব্য রাখেন।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই টাউন ইদগাহর সামনের সড়কসহ আশপাশের রাস্তাগুলো কানায় কানায় ভরে যায়। বরুণা, শেখবাড়ি, রায়পুর, দারুল উলুম, আরাবিয়া, দ্বীনিয়া, জামিউল উলুম বছিরমহল মাদরাসাসহ বিভিন্ন কওমি মাদরাসার প্রিন্সিপাল/শিক্ষা সচিব/প্রতিনিধির নেতৃত্বে বাস, পিকআপ, মাইক্রোযোগে, মিছিলসহকারে সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হাজার হাজার আলেমদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে শহরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।


সম্পর্কিত খবর