বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


যা আছে আনান কমিশনের সুপারিশে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ : মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সহিংসতা ও রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমদের মানবিক উন্নয়নকে সামনে রেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে ‘দ্য এ্যডভাইজারি কমিশন অব রাখাইন স্টেট’ নামে একটি কমিশন গঠন করে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সুচি। কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে ৬ জন মিয়ানমানের নাগরিক এবং কফি আনানসহ ৩ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।

কমিশন দীর্ঘ এক বছর অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই করে করে গত ২৩ আগস্ট ২০১৭ সালে একটি রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্টে তারা সচেতনভাবে বাঙালি ও রোহিঙ্গা উভয় শব্দ পরিহার করে। তার পরিবর্তে ‘মুসলিম কমিউনিটি অব রাখাইন’ শব্দটি ব্যবহার করে।

কমিশন মিয়ানমারের রাখাইনের আংশিক ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। কমিশন ৭৬০ পরিবার সঙ্গে কথা বলে এবং ১১৫ বার বৈঠক করে এ সুপারিশমালা তৈরি করেন।

কমিশন ১২ ইস্যুত ৮৬ টি সুপারিশ করেছেন। ১২টি ইস্যু হলো,

১. মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা

২. মিডিয়ার প্রবেশাধকার

৩. আইন ও সমতা

৪. সীমান্ত ইস্যু ও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন

৫. সামাজিক অর্থনীতির উন্নয়ন

৬. নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ

৭. নাগরিকত্ব ও স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার

৮. আইডিপি ক্যাম্প বন্ধ

৯. সাংস্কৃতিক ইস্যু

১০. বিভিন্ন গোষ্ঠি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃজাতি আলোচনা

১১. নাগরিক জীবনে অংশগ্রহণের সুযোগ

১২. আঞ্চলিক সম্পর্কের উন্নয়ন

১২টি বিষয়ে কমিশন তাদের পযবেক্ষণ ও সুপারিশমালা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। যেমন মানবাধিকারের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাখাইনের প্রাদেশিক সরকারের উচিৎ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক চেষ্টা করা এবং সহিংসতা রোধ করা।

মিডিয়া বিষয়ে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রবেশাধিকার দেয়া হোক।

একইভাবে বলা হয়েছে সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার একটি জয়েন্টফোর্স গঠন করবে।

কমিশন রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদান করে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করে এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ (নতুন ৩ লাখ বাদে) রোহিঙ্গা মুসলিমের মানবেতর জীবনের অবসান চান।

বিস্তারিত দেখুন : INTERIM REPORT AND RECOMMENDATIONS


সম্পর্কিত খবর