শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বিদেশে পাচার হওয়া জিয়া পরিবারের অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের ১ হাজার ২ শ’ কোটি টাকা আমরা ফেরত এনেছি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি জানান, জিয়া পরিবারের পাচার করা অন্যান্য অর্থও আমরা ফেরত আনব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে, নিশ্চয় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিশ্চয় আমরা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেব। ইতিমধ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত চলার স্বার্থে হয়তো সব আমি বলতে পারলাম না।

আজ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এরপর ফখরুল ইমাম বলেন, গ্লোবাল ইন্টিলেজেন্ট নেটওয়ার্ক'র (জিআইএন) প্রতিবেদন অনুযায়ী- শুধু দুবাই নয়, অত্যন্ত পক্ষে ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১ হাজার দুই'শ কোটি টাকা। সৌদি আরবে আহমদ আল আসাদের নামে আল আরাবা শপিং মলটির মালিকানা হল বেগম জিয়ার। কাতারে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ইকরা। এটির মালিকও বাংলাদেশী এবং এটার মালিকও উনি এবং আরফাত রহমানের নামে এই পুরা মালিকানা দেখা যায়।

তাছাড়া তুহিন উনার ভাস্তে। তার নামে তিনটি বাড়ি আছে কানাডাতে। এছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ ১৩ হাজার শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের হোটেল মেরেনডি’র। ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের নামে লন্ডনে ষ্ট্যান্ডফোর্ড ও অলগেটি দুটি অ্যার্পাটমেন্ট রয়েছে। ব্যারিষ্টার মওদুদের নামেও অ্যাপার্টমেন্ট আছে। মির্জা আর্বাসের স্ত্রীর নামে দুবাইতে আছে বিলাস বহুল অ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস ও তার সন্তানদের নামে কিনেছেন দুটি অ্যাপর্টমেন্ট। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের নামে সিঙ্গাপুরে রয়েছে বিলাস বহুল অ্যাপার্টন্টমেন্ট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যগুলো যখন বের হয়েছে, তখন নিশ্চয় আমাদের কাছে আছে এবং এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে এ তথ্য যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ